করিনার সঙ্গে সুখের সংসার সইফের। তৈমুরকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন সইফিনা। তবে হয়ত এমনটা নাও হতে পারত! মাত্র ২১ বছর বয়সে পালিয়ে অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ে বিয়ে করেছিলেন সইফ। অমৃতার বয়স তখন ৩৩। কার্যত বাড়ির অমতেই একে অপরকে বিয়ে করেন সইফ-অমৃতা। সালটা ১৯৯১। সারা-ইব্রাহিমের জন্মের পরেও টেকেনি সেই সম্পর্ক। ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সইফ-অমৃতার। সম্প্রতি নিজের প্রথম বিবাহ এবং সন্তানদের নিয়ে মুখ খুললেন সইফ।
পিঙ্কভিলার এক সাক্ষাত্কারে সইফকে প্রশ্ন করা হয় অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ এবং ছেলেমেয়েদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে। সইফ জানান, ‘এটা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ অনুভূতি। এমন একটা জিনিস(ডিভোর্স) আমি আজও মনে করি হয়ত অন্যরকম হতেই পারত। কেউই এই জিনিসটা কোনওদিন সহজভাবে মেনে নিতে পারেনা। আমি আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, শান্তি বজায় রাখারও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তখন আমার বয়স সবে ২০ বছর,জীবনে এত কিছু পাল্টে গিয়েছিল। তোমার খারাপ লাগবে..কখনও কখনও তুমি ভাবতেও পারবে না.. বাবা-মা হওয়াটা অদ্ভূত একটা জিনিস, তুমি তাদের একসঙ্গে বা এককভাবে ভাবলে চলবে না, তাঁদের দুটো ইউনিট হিসাবে ভাবতে হবে’।
সইফ বলেন তিনি জানতেন এই বিচ্ছেদ তাঁর সন্তানদের উপর প্রভাব ফেলবে, তবুও সময় সঙ্গে ছিল না। সইফ বলেন, ‘আমার মনে হয় বেড়ে উঠবার সময় একটা সঠিক পরিবেশ প্রত্যেক বাচ্চার প্রয়োজন পড়ে, যদিও সেই পরিবেশ সবসময়ই সবার ভাগ্যে থাকে না।’
তবে নিজের পরিবারকে একটা আধুনিক পরিবার বলে দাবি করেন সইফ, এখানে সবার সকলের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রয়েছে। যাই ঘটুক না কেন,কেউ সেটা নিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে না। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা জানি জীবন অনেক সুন্দর। তাই সবাই বসে অভিযোগ জানায় না। হয়ত কারুর দুইজন বাবা বা মা থাকাটা জীবনের সেরা ঘটনা হতে পারে না, তবে কখনও বোধহয় হতেও পারে।
অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রায় বছর চারেক পরে টশন ছবির সেটে করিনা-সইফের গভীর বন্ধুত্বের সূত্রপাত। তখন সবে মাত্র শাহিদ কাপুরের সঙ্গে ব্রেক-আপ হয়েছে বেবোর। এরপর সইফের সঙ্গে প্রেমসম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন করিনা। ২০১২ সালে করিনাকে বিয়ে করেন সইফ।