‘আপনি কুর্সি কি পেটি বাঁধ লো, মসম বিগড়নেওয়ালা হ্যায়’- নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে এদিন এমনটাই ঘোষণা করলেন সবার প্রিয় শাহরুখ খান। গত তিনবার সশরীরে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেননি কিং খান। তবে করোনা কাঁটা এখন অতীত। ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ছবি উৎসবের মঞ্চ মাতালেন শাহরুখ খান।
শুরুতেই বাদশার মুখে বাংলায় বক্তব্য। মুগ্ধ হয়ে শুনলো গোটা বাংলা। শাহরুখ জানালেন, ‘দিদিকেকথাদিয়েছিযখনইতখন তো এখানেআসবই’। সঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, ‘রানিকে পটিয়ে আজ বাংলায় স্পিচ লিখেছেি। খারাপ বললে দোষ রানির, আর ভালো বললে সেটা আমার ক্রেডিট’। ততক্ষণে হাসিতে ফেটে পড়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। তিনি নিজে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, একথা মনে করিয়ে দিয়ে শাহরুখ বলেন, এখানকার মতো আতিথেয়তা অন্য কোথাউ মেলা দুষ্কর।
শাহরুখ খানের সঙ্গে মমতার সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন কারুর অজানা নয়। নিয়ম করে শাহরুখ খানকে রাখি পাঠান মমতা। এদিনও মমতার বক্তব্যে শাহরুখের জন্য উঠে এল একরাশ ভালোবাসা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি শাহরুখ আমার নিজের ভাই, আমি ওকে রাখিও পরিয়েছি’। পাশাপাশি মমতা ফের মনে করান, বাংলার সঙ্গে কতটা খাস শাহরুখের সম্পর্ক। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার বলেই তো সব কাজ ফেলে ছবি উৎসবে যোগ দিতে বারবার কলকাতায় ছুটে আসেন কিং খান। শাহরুখের উপস্থিতি এই ছবি উৎসবকে আরও সফল করেছে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন কিফের মঞ্চ থেকে বাংলার জামাইবাবু অমিতাভ বচ্চনকে ‘ভারতরত্ন’ সম্মান দেওয়ার দাবি তোলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রে অমিতজির অবদান অশেষ। আমরা দাবি জানাচ্ছি, ওঁনাকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক। উনি এই সম্মানের যোগ্য’।
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউডের তরফে শাহরুখ-অমিতাভ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জয়া বচ্চন, রানি মুখোপাধ্যায়, শক্রুঘ্ন সিনহারা। দেখা মিলল কুমার শানু, অরিজিৎ সিং-এর। এর পাশাপাশি ওপার বাংলার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, টলিউডের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, দেব-সহ প্রায় সকলেই হাজির ছিলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে, যার মধ্যমণি হয়ে থাকলেন শাহরুখ খান।