ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন পরীমনি। এবার তাঁর নিশানায় রাজ। তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। রবিবার ফেসবুকে এই বাংলাদেশী অভিনেত্রী একটি পোস্ট করেন সেখানে তিনি তাঁর রক্তাক্ত বিছানার ছবিও পোস্ট করেন। এবং সেই পোস্টে অভিনেত্রী স্পষ্টতই জানান যে এভাবে তিনি আর রাজের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। এভাবে তাঁর সঙ্গে থাকা যায় না বলেই জানান তিনি। পরীমনি রাজের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করলেও অভিনেতা কিন্তু একটি উত্তরও দেননি তার পরিপ্রেক্ষিতে। উল্টে তিনি পয়লা জানুয়ারি ছেলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে সন্তানকে ভালোবাসার কথা জানান। কিন্তু স্ত্রীর ব্যাপারে কিছুই লেখেননি তিনি।
বহুবার অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রথমে কিছুতেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, 'আমি এই ইস্যুতে কিছুই বলতে চাই না। কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে জানি না, জানতেও চাই না। আমি বাসায় আছি। সারারাত ঘুমাইনি। এখন ঘুমানোর চেষ্টা করছি।'
তবে রাজের স্ত্রীর গলায় কিন্তু একদম অন্য কথা। পরীমনি রবিবার তার পোস্টে বলেন, ‘একটা মেয়ে সম্পর্ক নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস না হলে বা খুব করে না চাইলে বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনই। আমার জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখতে চাইলাম তখনই আমাকে পেয়ে বসা হল। যেন, শত-কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও, সব শেষে আমিই মানিয়ে নেব এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল।’
অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে আরও বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। সন্তানের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কী? আসলে এতে আমার বাচ্চাই ভালো থাকবে না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম। রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তনই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার উপর সে আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যাঁরা রয়েছেন আপনারা নিশ্চয়ই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিকভাবেও আমি বিধ্বস্ত। রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারল না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে!’