সুশান্ত মামলা নিয়ে গত চার মাস ধরে জারি রয়েছে চাপান-উতর। শুরু থেকেই এই মামলার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন শেখর সুমন। তবে ধীরে ধীরে আস্থা হারাচ্ছেন অভিনেতা। সংবাদমাধ্যমের কাছে এইমস-র চিকিৎসক প্যানেলের ফাঁস করা রিপোর্টের বিরুদ্ধে নিজের অবিশ্বাস,ক্ষোভ এবং হতাশা উগরে দিলেন অভিনেতা শেখর সুমন। ১৪ই জুন অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই সুশান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখর সুমন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিবিআই-কে জমা দেওয়া রিপোর্টে সুশান্ত মামলায় খুনের তত্ত্বকে নাকচ করে দিয়েছে ডক্টর গুপ্তার নেতৃত্বে তৈরি এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্যানেল, এমনটাই উঠে এসেছে মিডিয়া রিপোর্টে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনওরকম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি সিবিআই কিংবা এইএমস।
অনেকখানি আফসোসের সঙ্গে শেখর সুমন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে লিখলেন , সুশান্তের মতই তাঁর কেসের তদন্তকেও শ্বাসরুদ্ধ করা হল, আপাতত তদন্ত অভিমুখ পরিবর্তন করে ফেলেছে। ন্যায় বিচারের স্বপ্ন এখন অতীত বলেই মনে করছেন তিনি। সবটাই সাজানো মনে হচ্ছে তাঁর, তিনি লেখেন- ‘এয়সে হি ফিক্স কিয়া?’
নিজের টুইটে শেখর আরও লেখেন , 'এমন যে হবে তা তাঁর আগেই জানা ছিল। আগেই তিনি সাবধান করেছিলেন এই তদন্ত মাঝপথেই হাইজ্যাক হয়ে যেতে পারে। দেশ জুড়ে মানুষ অভিনেতার ন্যায় বিচারের দাবিতে লড়াই করেছিলেন, কিন্তু কিছু ফাঁক ফোকরের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর মিডিয়া সম্পূর্ণ ফায়দা লুটতে শুরু করে। আপাতত রিয়া জামিন পেয়ে গেলেন, সিবিআই এইমস উভয়ের রিপোর্টে কোনও অসঙ্গতি চোখে এল না কারোর, এমনকি দীপেশ ও মিরান্ডাও বেল পেয়ে গেলে; এর পরে আর কিছু অবশিষ্ট থাকতে পারে কি ? ফলতঃ দিনের শেষে আমাদের এবার থেমে যাওয়ার সময় এসেছে, আর কিছুই করার নেই।
উল্লেখ্য সম্প্রতি সুশান্তের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিংও দাবি করেছেন এইমস এর প্যানেলের রিপোর্টে অসঙ্গতি থাকতে বাধ্য। এমনকি এই প্রাক্তন সলিসিটার জেনারেল বলেন সুধীর গুপ্তা নিজে তাঁকে ফোনে বলেছেন তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু আজকের পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে উভয়ের টেলিফোনিক কথোপকথন রেকর্ড না করে রাখার জন্য আক্ষেপ ঝরে পড়ে বর্ষীয়ান আইনজীবীর কণ্ঠে। ইতিমধ্যেই রিপোর্টে অসঙ্গতি দাবি করে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠিও লিখেছেন আইনজীবী। তবে তাঁর আশা ,এই নিয়ে তদন্ত হলে সত্যের উন্মোচন হবেই। না হলে ফের আদালতের দরজায় কড়া নাড়বে সুশান্তের পরিবার, মন্তব্য তাঁর।