বান্দ্রা স্টেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সোনু সুদকে বাধা দেয় আরপিএফ! মঙ্গলবার এই খবরে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। খবর প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।রবিবারই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত কটাক্ষ করেন সোনুকে,এর কয়েকঘন্টার মধ্যে এই খবর প্রকাশ্যে আসলে মহারাষ্ট্র সরকারের তীব্র নিন্দায় সরব হন নেট নাগরিকরা। যদিও অবস্থান স্পষ্ট করে সোনু সুদ জানালেন তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি আরপিএফের তরফে।
টুইটারে এই খবরকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়ে সোনু লেখেন, রেকর্ড সাফ রাখতে জানাতে চাই-আমাকে স্টেশনে ঢুকতে কেউ বাধা দেয়নি। আমি সমস্ত প্রোটোকলকে সম্মান জানাই এবং সেটা মেনে চলেছি। আমি রাজ্য সরকারের কাছে ট্রেনের আবেদন জানিয়েছিলাম যাতে আমি এই পরিযায়ীদের ঘরে ফেরাতে পারি,তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারি'।
অপর একটি টুইটে এই সুপারহিরো জানান, ওখানে প্রায় দু হাজার মানুষ ছিলেন। আমি সত্যি ধন্যবাদ জানাতে চাই রাজ্য সরকার,মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেজি এবং মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে ও বিধায়ক আসলাম শেখকে পরিযায়ীদের মুখে হাসি ফোটানোর কাজে আমাকে সবরকম সাহায্য করায়। জয় হিন্দ'।
সোমবার রাতে পরিযায়ীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বান্দ্রা স্টেশনে সোনুকে আটকায় আরপিএফ। নির্মল নগর পুলিশ থাকার সিনিয়র ইনস্পেক্টর শশীকান্ত ভান্ডারে পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, আরফিএফ সোনুকে বান্দ্রা স্টেশনে ঢুকতে বাধা দিয়েছে,আমরা এই ব্যাপারে এখনও কোনওরকম অভিযোগ পাইনি'। যদিও সেই খবর কার্যত উড়িয়ে দিলেন সোনু সুদ নিজেই।
প্রসঙ্গত, রবিবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’র একটি কলমে সঞ্জয় রাউত প্রশ্ন তোলেন কীভাবে একার হাতে সোনু সুদ এত বাস,বিমানের বন্দোবস্ত করছেন যেখানে বেশকিছু রাজ্য সরকার পর্যন্ত হিমসিম খাচ্ছে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরাতে। ‘একতা সোনু সুদ খারা’ অর্থাত্ ‘একমাত্র সোনু সুদ খাঁটি’ শীর্ষক কলমে রাউতের অভিযোগ 'বিজেপি আড়াল থেকে সোনুকে মদত জোগাচ্ছে,তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে এবং শীঘ্রই ‘বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার’ হিসাবে সামনে আসবেন সোনু সুদ।
এরপর রবিবার সন্ধ্যাতেই সোনুকে নিজের বাসভবন মাতশ্রীতে আমন্ত্রণ জানান উদ্ধব ঠাকরে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর সোনুর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।সেদিনের আলোচনাায় শামিল হন যুব সেনা প্রধান,তথা রাজ্যের পরিবেশ ও পর্যটন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। হাজির ছিলেন রাজ্যের বিধায়ক আসলাম শেখও।
সোনুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাতকে অনেকেই শিবসেনার ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বলেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।