‘লাইগার’ ছবি তৈরির ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরূপ! পরিচালকের পর ইডি আধিকারকিদের নিশানায় অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা। এদিন হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। চলছে ম্যারাথন জেরার পর্ব। নির্দেশ মতোই এদিন ইডির সামনে সময়মতো হাজিরা দেন পর্দার ‘লাইগার’। দক্ষিণের এক রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্বের হাওয়ালার টাকায় তৈরি হয়েছে ‘লাইগার’ এমন অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ের সত্যটা যাচাই করতেই এদিন বিজয়কে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। তেলেঙ্গানার ওই রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা তছরূপের অধিকার রয়েছে। সেই মামলার তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছে কালো টাকা সাদা করতেই ‘লাইগার’ ছবিতে ঢালাও বিনিয়োগ চলেছে। ‘লাইগার’-এর জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন বিজয়, কেমনভাবে সেই টাকা তাঁর অ্য়াকাউন্টে আসে? এই প্রশ্ন এদিন বিজয়ের সামনে রাখা হয়। সেই সম্পর্কিত নথিও জমা দিতে হবে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি এই মামলায় ইডির সামনে হাজিরা দেন ‘লাইগার’ পরিচালক পুরী জগন্নাথ এবং ছবির প্রযোজক চার্মি কৌর। ‘লাইগার’-এর বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে পরিচালক ও প্রযোজককে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করল ফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই ছবির সকল বিনিয়োগকারীর নাম জানতে চায় ইডি।
ইডি সূত্রে খবর ‘লাইগার’ নির্মাণে বিদেশি টাকার বিনিয়োগ করে সরাসরি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (১৯৯৯)-এ লঙ্ঘন করেছে নির্মাতারা। ইডি আধিকারিকদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর রয়েছে দুবাই থেকে টাকা এসেছে এই ছবির নির্মাণে। নাম উঠে এসেছে বেশ কিছু রাজনীতিবিদেরও। ‘কালো টাকা’ সাদা করতে ‘লাইগার’-এর নির্মাণে ওই সব রাজনীতির কারবারিরা টাকা ঢেলেছে, বলে ইডি সূত্রে খবর।