আরআরআর ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন এসএস রাজামৌলি। শুক্রবার নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিক্স সার্কেলে এই পুরস্কার অর্জন করেন এই ভারতীয় পরিচালক। পুরস্কারের মরশুমে এই সমালোচকদের গ্রুপ তাঁদের মনোনীত করা ছবিগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দিল। রাজামৌলির এই জয় তাঁর অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অবাক করতে বাধ্য করেছে। এই পুরস্কারের জন্য তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন স্টিভেন স্পিলবার্গ, ড্যারন অ্যারোনোফস্কি, সারাহ পোলে, প্রমুখ।
নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিক্স সার্কেলে টড ফিল্ডসের ‘টার’ ছবিটি সেরা ছবির পুরস্কার অর্জন করে নিয়েছে। এই ছবিতে ক্যাট ব্লানচের অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করে। তিনি এই ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। কলিন ফ্যারেল সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান দুটি ছবির জন্য, এই ছবি দুটির একটি হল কোগোনাড়ার ‘আফটার ইয়াং’, আরেকটি হল মার্টিন ম্যাকডোনাগের ‘দ্য বানশিস অব ইনিসারিন’। কে হুই কুয়ান ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ান্স’ ছবির জন্য সেরা সহ অভিনেতার পুরস্কার পান। ‘নোপ’ ছবির জন্য কেকে পালমের সেরা সহ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।
ভারতের ‘আরআরআর’ ছবিটি বিদেশের বাজারে দারুন সাড়া পেয়েছে। অস্কারের জন্য এই ছবির পরিচালক দারুন প্রচার চালাচ্ছেন। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআরকে দেখা গিয়েছিল। এই ছবিটি বর্তমানে অস্কারের বিভিন্ন ভাগ, যেমন সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা সহ অভিনেতা, সেরা সহ অভিনেত্রী, ইত্যাদি বিভাগে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে এই ছবিটি ১২০০ কোটি টাকার উপর আয় করেছে। আর্থিকভাবে অন্যতম সফল ভারতীয় ছবি হিসেবে এটি নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে। এবং একই সঙ্গে এটি ভারতীয় ছবি সমালোচকদের থেকে দারুন প্রশংসাও কুড়িয়েছে। যদিও ভারতের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছবিকে ২০২৩ সালের অস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়নি। তাই পরিচালক এবং তাঁর দল আলাদাভাবেই অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।