পুজোয় জমজমাট ছিল চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। পঞ্চমী থেকে দশমী, মায়ের পুজোর আপডেট নিয়ম করে শেয়ার করে নিয়েছেন রান্নাঘর-খ্যাত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তবে ঠাকুর বিসর্জন যেতে না যেতেই মন খারাপের সুর নেমে এল গোটা বাড়িতে। ইনস্টাগ্রামে একটি সাদা-কালো ছবি শেয়ার করে নিলেন অভিনেত্রী। শুয়ে আছেন সোফায়। কোলে সন্তানসম বাঁটুল। তবে সে আর নেই এই পৃথিবীতে।
পোষ্য হারানোর যন্ত্রণা আগেও কাতর করেছে সুদীপ্তাকে। চলতি বছরের মে মাসেই মারা গিয়েছিল ভানু। ফের সেই একই যন্ত্রণা পেলেন। ছেড়ে চলে গেছে বাঁটুল। সুদীপা ছবির ক্যাপশনে লিখলেন, ‘আমরা তোমায় ভুলব না… আমরা তোমার সঙ্গে আবার দেখা করব রামধনুর পথে। স্বর্গের কাছাকাছি কোথাও। মা ও বাবা তোমায় খুব ভালোবাসে। পারলে ফিরে এসো। তোমায় খুব মিস করব বাঁটুল।’
ভানু-র মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছিলেন সুদীপা। রাতে ঠিক করে ঘুমোতেও পারতেন না। সেই সময় তাঁকে সামলাতে একই দেখতে আরও এক পোষ্যকে এনে দিতে হয়েছিল বর অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়কে। ঘরে এসেছিল ভানু পার্ট ২। যার নাম রাখেন তাঁরা ভান্টু। এরপর থেকে ভান্টু আর বাঁটুলের ছবি প্রায়ই শেয়ার করতেন সোশ্যালে। তবে এবার আরও এক ‘সন্তান’কে হারালেন।
পোষ্যদের সঙ্গে ছবি দেওয়ায় বারবার কটাক্ষের মুখে পড়েন সুদীপা। এর আগে এক নেট-নাগরিক পরামর্শ দিয়েছিল, ‘আপনি এক দামিদামি বিদেশি কুকুর কেনেন বলুন তো? একটা রাস্তার কুকুরকেও তো বাড়িতে এনে যত্ন করতে পারেন।’ এমনকী, তাঁর পোষ্য ভান্টুকে একবার ‘কদাকার’ বলে কটাক্ষ করেছিল এক নেট-নাগরিক। জবাবে সুদীপা লিখেছিলেন, ‘বিশ্বাস করুন আপনাকে পুরো রানীর মতো দেখতে। কীভাবে সবসময় আপনাকে এক সুন্দর লাগে বলুন তো? সিক্রেটটা কী?’
ভান্টু আর বাঁটুলকে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন সুদীপা। আদিদেবের মতোই ভালোবাসা পায় তারা চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। আদিদেবের বয়স সবে ৫। মায়ের মতোই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
উত্তর কলকাতার যৌথ পরিবারের মেয়ে সুদীপার সঙ্গে অগ্নিদেবের আলাপ হয়েছিল কাজের সূত্রেই। বয়সের অনেকটা ফারাক থাকা সত্ত্বেও একে-অপরকে খুব সহজেই আপন করে নেন। জাঁকজমক ছাড়া অত্যন্ত ঘরোয়াভাবেই ২০১০ সালে অগ্নিদেবের বালিগঞ্জের বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর৷ এরপর ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তাঁরা। প্রথম বিয়ের পর মানালি আর দ্বিতীয় বিয়ের পর হানিমুনে গিয়েছিলেন ইউরোপে।