অগ্নিদেবের জন্মদিনে অকপট সুদীপা
‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’ ধারাবাহিকের সেটে আলাপ দুজনের। বিবাহিত অগ্নিদেবের প্রেমে পড়েছিলেন সুদীপা। যদিও তার অনেক আগেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মনের বাঁধন আলগা হয়েছে অগ্নিদেবের। কিন্তু সুদীপাকে কম কটূক্তি শুনতে হয়নি। ‘বড়লোক প্রযোজক’কে ‘হাত’ করেছেন, এমন কটাক্ষ ধেয়ে এসেছিল। জুটেছিল ‘ঘরভাঙানি’ তকমা। আরও পড়ুন-‘বাদ’ ইন্দ্রাণী, চিনি হয়ে ৬ বছর পর ফিরছেন জি বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা
সুদীপা অবশ্য সবসময়ই জুড়ে রেখেছেন অগ্নিদেবের পরিবারকে। পরিচালকের প্রথমপক্ষের ছেলে, আকাশের সঙ্গে দারুণ ভাব অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার। বরের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট ‘রান্নাঘরের রানি'র। গত মাসেই মা-কে হারিয়েছে সুদীপা। সময়টা মোটে ভালো যাচ্ছে না তাঁর, এর মাঝেই বরের জন্মদিনে মন উজাড় করে খোলা চিঠি লিখলেন সুদীপা।
অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার ভীষণ গুণী বরকে জন্মদিনের একরাধ শুভেচ্ছা। আমি ভীষণ সৌভাগ্যবতী যে একজনের মধ্যে স্বামী ও প্রিয় বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছি। আমার সঙ্গে এভাবে থাকার জন্য তোমায় অনেক ধন্যবাদ। তোমায় ভীষণ ভালবাসি।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় অগ্নিদেবের জন্য ভালোবাসা উজার করে দিতে এতটুকু কর্পণ্য় করেন না সুদীপা। কিছুদিন আগেই সুদীপা ‘পারফেকশনিস্ট বর’কে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘অগ্নিদেবই শিখিয়েছে আমার কেমন হওয়া উচিৎ। ওই আমায় শিখিয়েছে আমার কী ধরনের পোশাক পরা উচিৎ। ওই আমাকে শিখিয়েছে আমার ব্যবহার কেমন হওয়া উচিৎ। শিখিয়েছে কীভাবে খাব, শোব, শিকার করব। এক কথায়, ও হল পারফেকশনিস্ট।’
বয়সের ফারাক বা অগ্নিদেবের ডিভোর্সি তকমা কোনওকিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি এই প্রেমের গল্পে। অগ্নিদেবের প্রথমপক্ষের ছেলে আকাশ যখন বোর্ডিং স্কুলে পড়ে, সেই সময় পরিচালকের জীবনে সুদীপার এন্ট্রি। সুদীপা একবার লিখেছিলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটাকে কোনও নামে বাঁধতেও চাই না। কিন্তু এই ভাবেই একে অপরের পাশে থাকতে চাই’।
২০১০ সালে ঘরোয়া বিয়ে সরেছিলেন দুজনে কিন্তু সেই বিয়ে আইনসিদ্ধ ছিল না। প্রায় আট বছরের সহবাসের পর ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন অগ্নিদেব-সুদীপা। সেই বিয়ের পরের বছরই পুত্র সন্তান আদিদেবের জন্ম দেন অগ্নিদেব ঘরণী। স্বামী অগ্নিদেব এবং ছেলে আদিদেবকে নিয়ে সুদীপা এখন ভরপুর সংসারী ৷ অগ্নিদেবের পরিবারের সমস্ত সদস্যের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক সুদীপার। সঙ্গে। দাদা আকাশ অন্ত প্রাণ আদিদেব। বাবার থেকেও দাদার উপরই বেশি তাঁর। আদি আর আকাশ— দুই ছেলেকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন অগ্নিদেব এবং সুদীপা।