সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত কী আদৌ করবে সিবিআই? আজ সকাল ১১টায় কার্যত তার ফয়সলা হয়ে যাবে।গত ২৫ জুলাই বিহার পুলিশ যে এফআইআর করেছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে, সেটি মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করার জন্য গত ২৮শে জুলাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া। সেই মামলার রায় বুধবার দেবে সুপ্রিম কোর্ট। আজ বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই পিটিশনের চূড়ান্ত রায় দেবে।
রিয়ার আইনজীবী বলেছেন যে বিহারের কোনও জুরিসডিকশন (আইনগত অধিকারক্ষেত্র) নেই এই মামলায় হস্তক্ষেপ করার। যখন রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, তখন জিরো এফআইআর করে সেই তদন্ত মুম্বই পুুলিশকে সঁপে দেওয়া উচিত ছিল বলেই রিয়ার আইনজীবীর দাবি। এই যুক্তি সুপ্রিম কোর্ট মানে কিনা সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত বিহার পুলিশের দায়ের করা এফআইআর ও পরবর্তী সময়ে বিহার সরকারের করা সুপারিশকে কেন্দ্র মান্যতা দেওয়ায় গত ৬ই অগস্ট থেকে সুশান্ত মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। অর্থাৎ আদালত যদি বিহার থেকে মহারাষ্ট্রে এই মামলা স্থানান্তরিত করবার রায় দেয়, কার্যত অথৈ জলে চলে যাবে সিবিআই তদন্তের ভবিষ্যত। এর কারণ হল মহারাষ্ট্র সরকার বারবার জানিয়ে দিয়েছে যে তারা সিবিআই তদন্ত চায় না, মুম্বই পুলিশ এই মামলার তদন্ত করতে সক্ষম বলে দাবি উদ্ধব ঠাকরে সরকারের।
যদিও সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া নিজের লিখিত জবাবে রিয়া জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় সংবিধানের ১৪২তম ধারা অনুযায়ী নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় তাতে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু বিহার পুলিশের এফআইআরের ভিত্তিতে যে মামলা সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। কারণ সেটি বিহার পুলিশের ‘আইনগত অধিকার ক্ষেত্রের বাইরে’ এবং 'আইন বিরোধী'।
১৪ জুন মুম্বইয়ে বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। মুম্বই পুলিশের দাবি আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের,কিন্তু সেই তত্ত্ব মানতে না-রাজ অনেকেই। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে আইনি টানাপোড়েন, এখন দেখবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত রিয়ার পিটিশনের কী রায় দেয়।