সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে মুম্বই পুলিশ।পাশাপাশি বিহার পুলিশের সঙ্গে অসহযোগিতা করবার অভিযোগ রয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পুলিশবাহিনীর বিরুদ্ধে। এর মাঝে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। এবং এই তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশের তদন্তে উঠে আসা বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করলেন তিনি। এদিন সাংবাদিদের পরিষ্কারভাবে জানান, মুম্বই পুলিশ ১৪ তারিখ সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। অন্যদিকে সুশান্তের পরিবারের তরফে বিহার পুলিশে সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে পরিবার।
সাংবাদিক বৈঠকে পরমবীর সিং স্পষ্টতই জানান, সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার নাম সামনে উঠে আসেনি। কারুর বিরুদ্ধে কোনওরকম তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। তিনি আরও যোগ করেন, প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর সঙ্গে বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাঁর নাম জড়ানোয় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন সুশান্ত। সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে ৮ই জুন রাতে দিশা সালিয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সেখানে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে,ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দিশা সালিয়ান। মৃত্যুর আগের দিন রাতে সুশান্তের বাড়িতে কোনওরকম পার্টি হয়নি। সুশান্ত ও তাঁর বাড়িতে যাঁরা থাকতেন তাঁরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন,বললেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার। তিনি যোগ করেন, সুশান্ত নাকি তাঁর আইনজীবীকে একটি মেসেজও পাঠান যে কেন দিশার মৃত্যুতে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না! এই থেকেই স্পষ্ট দিশার মৃত্যুতে বিপর্যস্ত ছিলেন সুশান্ত।
শুধু তাই নয় সুশান্ত সিং রাজপুত ফোনের সার্চ হিস্ট্রি ঘেঁটেও পুলিশ দেখেছে- ‘কষ্টহীন মৃত্যু’, ‘বাইপোলার ডিসওর্ডার’, ‘সিজোফ্রেনিয়া’-র মতো শব্দ বারবার গুগল করতেন সুশান্ত। একাধিকবার নিজের নাম গুগলে সার্চ করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।
দিশার মৃত্যু নিয়ে কমিশনার জানান, মৃত্যুর রাতে দিশার ফ্ল্যাটে পার্টি হয়েছিল। রাত তিনটে নাগাদ আত্মহত্যা করে দিশা। দিশার হবু স্বামীসহ সেই পার্টিতে পাঁচজন উপস্থিত ছিল। কিন্তু কোনও পলিটিক্যাল লিডার হাজির ছিলেন না। বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পার্টিতে এক প্রভাবশালী যুবনেতার হাজির থাকার কথা উঠে এসেছে। সেই দাবি এদিন উড়িয়ে দিলেন পরমবীর সিং। তবে তিনি পরিষ্কার জানান, দুটি মামলারই এখনও তদন্ত চলছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।