নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে বিতর্ক নিয়ে ফের মুখ খুললেন নুসরত জাহান। তারকা সাংসদের দাবি গোটা বিতর্ক নিয়ে তাঁকে ‘ভুলভাবে বাখ্যা হয়েছে’। ২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে ডেস্টিনেশন বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত-নিখিল। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সেই রূপকথার বিয়ে। যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কের জল্পনার মাঝেই চলতি বছর জুন মাসে নুসরত জানান, নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে আইনের চোখে অবৈধ, সুতরাং তাঁদের সম্পর্ককে একমাত্র লিভ ইনের নাম দেওয়া যেতে পারে।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নুসরত বলেন, ‘ওঁরা আমার বিয়ের জন্য কোনও টাকা খরচ করেনি। আমার হোটেলের বিল মেটায়নি। আমার ওঁদের কিছু বলবার নেই। আমি নিজে সত্, আমাকে ভুলভাবে বাখ্যা করা হয়েছে, এখন আমি সেটা স্পষ্ট করেছি’। কারুর নাম না করেই নুসরত বলেন নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া সহজ, কিন্তু কাউকে নীচু করবার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই বলেও দাবি করেন নুসরত।
নিখিলের সঙ্গে ‘সহবাস করেছি’ নুসরতের এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তাঁদের বিয়ের ছবি, পার্লামেন্টে গিয়ে নুসরতের নিজেকে ‘নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে পরিচয় দিয়ে শপথ গ্রহণ করা-সবই দেখেছে গোটা দেশ। তাহলে কীভাবে সেই বিয়েকে ‘সহবাস’ বললেন তারকা-সাংসদ? নুসরত আগেই জানিয়েছেন, ‘নিখিল আইনি নোটিস পাঠিয়েছিল আমাকে, সেখানে সহবাসের কথা লেখা ছিল।আমার মতামত ভুলভাবে ব্যাখা করা হয়েছে। আমি কী করে বলব যে বিয়ে করিনি? নিখিলের সঙ্গে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়েছি। পার্লামেন্টে গিয়ে পরিচয়পত্র তৈরি করেছি। সেটা কী করে অস্বীকার করব? নিখিল আমাকে কোর্ট পেপাপ পাঠিয়েছিল সেখানে লেখা ছিল সহবাসের কথা।আমি নিখিলের কথাগুলোই উল্লেখ করেছিলাম। সকলে ভাবল ওগুলো আমার কথা’।
নুসরত ও নিখিলের বিয়ে ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর আওতায় রেজিস্টার করা হয়নি, তাই এই বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিখিল আগেই জানিয়েছেন, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নুসরতই তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করানোর তাগিদ দেখায়নি। এই নিয়ে অবশ্য পালটা মন্তব্য করেননি নুসরত। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই নুসরতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়ে আদালতে মামলা করেন নিখিল। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন।
এর মাঝেই নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সামনে আসে। এরপর যশ দাশুগুপ্তর সঙ্গে নিজের লিভ ইন সম্পর্কেও স্বীকৃতি দেন নুসরত। গত ২৬ অগস্ট পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। পরবর্তী সময়ে যশ দাশগুপ্তকেই নিজের সন্তানের বাবা বলেও পরিচয় করিয়ে দেন অভিনেত্রী। নুসরত-যশের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন যশরত।
নুসরতের সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলেও প্রাক্তনের সন্তানের জন্য অবশ্য একরাশ শুভকামনা জানিয়েছেন নিখিল। ঈশানের জন্মের পর নিখিল জানিয়েছিলেন, 'কামনা করি নুসরত আর ওর ছেলে সুস্থ থাকুক, সুন্দর করে বড় হয়ে ওঠুক। অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’।