নন্দিনীর নতুন চমক
সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন তিনি। করোনা কালে বেঙ্গালুরুর চাকরি ছেড়ে বাবার ব্যবসায় যোগ দেন। এক ফেসবুক ভিডিয়োর সুবাদে রাতারাতি স্টার হয়ে গিয়েছিলেন ডালহৌসীর এক পাইস হোটেলের মালকিন নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। গলায় হেডফোন ঝুলিয়ে, জিনস আর স্টাইলিশ টপে নন্দিনী দিদিকে ফুটপাথে রান্না করতে দেখে চোখ আটকে যায় অনেকেরই।পাইস হোটেলের এই মালকিনকে ইনস্টায় ফলো করেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। তাঁর হোটেলের খাবার টেস্ট করতে পৌঁছেছিলেন মদন মিত্র।
দিন কয়েক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নন্দিনী এবার সিলমোহর পড়ল জল্পনায়। হ্যাঁ, পাইস হোটেলের মালকিন নন্দিনী দিদিকে এবার সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে। ছবির নাম তিন সত্যি। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হবে ছবির শ্যুটিং। প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবির পরিচালক। ছবিতে নন্দিনীর চরিত্রের নাম নীলাক্ষী।
সিনেমায় নাম লেখাচ্ছেন ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনী। তাহলে কি পাইস হোটেল বন্ধ হচ্ছে? সকলকে আশ্বস্ত করে নন্দিনী দিদি এইসময়কে জানান- ‘যেখানে যা ছিল সব একই থাকবে। পাইস হোটেল বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমার ভাতের হোটেল চলবেই। মা-বাবাকে দেখার জন্য এই ব্যবসাটা প্রথম শুরু করি। সুতরাং কোনও অবস্থাতেই তা তুলে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না’। দু-দিক সামলাতে তৈরি নন্দিনী।
কেমন হবে নীলাক্ষীর চরিত্র? এর আগে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে নন্দিনীর কাছের মানুষ রাজা সাহা জানান, ‘নীলাক্ষি এমন একটা মেয়ে যে ভীষণ সুন্দর, আকর্ষণীয়, ক্রিয়েটিভ। লিখতে ভালোবাসে। সত্যিটাকে তুলে ধরতে ভালোবাসে নিজের লেখায়।’ আর নন্দিনীর কথায়, ‘একটা সম্পর্কের কী মর্ম হতে পারে কোনও পরিবারের কাছে, সেটা নিয়েই নীলাক্ষীর গল্প।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভাইরাল কুইন' নন্দিনী দিদি। লাগাতার ট্রোলিং নিয়ে কী মত তাঁর? স্মার্ট দিদি অকপটে বলেন, নেতিবাচক মানসিকতাতে পাত্তা দেন না। কারণ ‘এত নেগেটিভিটি নিয়ে ভাবলে কাজ করব কখন! এখন ডিপ্রেশনে যাওয়ার মতো সময়ও আমার কাছে নেই। অনেক মানুষ এই সুযোগটা পাওয়ার জন্য হাত পা ছোঁড়ে। আমি সকলের আশীর্বাদে এই সুযোগটা পেয়েছি। সেক্ষেত্রে কেন আমি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাব না! আপাতত আমার পুরো ফোকাস রয়েছে কাজে। অভিনয় এবং ব্যবসা দুটোকেই সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
নন্দিনী ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। চাকরি ছেড়ে এখন বাবার ব্যবসার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। ডালহৌসীর দোকান বন্ধ তো দূর অস্ত ‘সেলিব্রিটি’ নন্দিনী জানিয়েছেন কলকাতায় আরও কিছু পাইস হোটেল খোলার ইচ্ছে তাঁর রয়েছে। একটা নিউটাউনে ও অপরটি উত্তর কলকাতায়। শুধু পেশাগত জীবনই নয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা নন্দিনী তিনি। চলতি বছরে বিয়ের পিঁড়িতেও বসবেন। প্রেমিক রুদ্র দাসের গলাতেই দেবেন মালা। পুজোর আগে সেরে ফেলতে পারেন এনগেজমেন্টও।