আজকাল অনেকেই মহিলা পুরোহিতকে দিয়ে বিয়ে করান। তাঁরা চান না বিয়েতে কন্যাদানের মতো প্রথা থাকুক। মন্ত্রপাঠের পাশাপাশি সেখানে থাকে ইংরেজি ট্রান্সলেশন এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত। আজকাল বিষয়টা খুবই চলতি। এমনকি দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে অন্যান্য পুজোতেও অনেকে মহিলারাই পৌরহিত্য করে থাকেন। কিন্তু এদিন এবারের সরস্বতী পুজোর যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটা দেখে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন সকলে।
আরও পড়ুন: ৫৮-এর যুবক বলবে কে! ছেলের ব্র্যান্ডের প্রচারে শার্টলেস অবতারে শাহরুখ, ছড়ালেন উষ্ণতা
আরও পড়ুন: টিবি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে বাংলা, সবথেকে বেশি যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নিয়ে প্রশংসিত মিমি
ভাইরাল হওয়া সরস্বতী পুজোর ভিডিয়ো
এদিন সরস্বতী পুজোর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে এক জনপ্রিয় মহিলা পুরোহিতকে সরস্বতীর সামনে না বসে বরং পাশে বসে যজ্ঞ করতে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে কেউ একজন ক্যামেরার নেপথ্যে থেকে মন্ত্রপাঠের বদলে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইছেন। আর সেটা দেখেই হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে নেটপাড়া। করছে তুলোধনাও। তাঁদের দাবি যিনি গানটি গাইছেন তিনি বেসুরো গলায় গান গাইছেন। পুরোহিতকে এদিন আলো আমার আলো ওগো গানটি গাইতে শোনা যায়। তবে সেই গান গাইতে গিয়ে তিনি বেশ কিছু জায়গায় ভুল লিরিক্সও গান।
কে কী লিখছেন?
যিনি এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন তিনি এই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, 'আলো আমার আলো ওগো গানে হোম! কী দরকার স্থন্ডিল পুজো, বহ্নিস্থাপন, সঙ্কল্প, আহুতি পুর্নাহুতি এসবের...?' এক ব্যক্তি লেখেন, 'বুঝি না এঁদের এভাবে গানকে ছোট করার কী প্রয়োজন! গান গেয়ে উপাসনা তো বরাবরই হয়ে এসেছে; কীর্তন, শ্যামা সঙ্গীত সবই তার প্রমাণ হয়ে বেঁচে আছে। কিন্তু তা বরাবরই আচার উপাচারের অনুসঙ্গ হিসাবে, মূল আচার উপাচারকে বাদ দিয়ে তো নয়। গান দিয়ে সেগুলো প্রতিস্থাপন করার তো কোন প্রয়োজনই নেই, আসনে বসে সকল উপাচারের সাথেই গানকে নিষ্ঠাভরে নিবেদন করা যায়। এঁরা এই অদ্ভুত শিল্প বিপ্লব করতে গিয়ে গানকেই, বিশেষ করে রবীন্দ্র সঙ্গীতকে হাস্যাস্পদ করে তুলছেন। আবার সুধা নিঝর ঝরাকে সোনা নিঝর ঝরা বলে স্বরচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে ফেললেন।'
আরও পড়ুন: ‘বড়লোকের বিটি লো’ গাইতে গাইতে জমিয়ে নাচ পদ্মশ্রী রতন কাহারের, যোগ্য সঙ্গত তিমির- শিলাজিৎ- জয়জিতের
দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন 'বেসুরো গান। আমি এদের থেকে নিশ্চিত ভালো গান গাই।' তৃতীয় জনের মতে, 'আমি সত্যি মর্মাহত। সমাজ আজ কোনদিকে যাচ্ছে। এই অবনতি সত্যি মেনে নেওয়া যায় না।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'ভাইরে ভাই, এত করে যদি গানটা ঠিক গাইত তাও বুঝতাম! ফেমিনিজম দেখাতে গিয়ে পুরো গানকে শেষ করে দিল।'