টলিগঞ্জের অন্যতম সুপারহিট জুটি জিৎ-কোয়েল। যাঁদের ফ্যানেরা ভালোবাসেন জিকো বলেই। ফিল্মি কেরিয়ারে কোয়েল সঙ্গে জুটি বেঁধেই সবচেয়ে বেশি ছবি করেছেন জিৎ, উলটো দিক থেকেও এই কথাটি এক্কেবারে প্রযোজ্য। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই জুটির অন্যতম হিট ছবি 'সাত পাকে বাঁধা'। এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুজিত মণ্ডল। তেলুগু ছবি পবিত্র বন্ধমের এই রিমেকে কোয়েল-জিৎ রসায়ন আজও মনে রেখেছে বাংলা ছবিপ্রেমীরা।
অন-স্ক্রিনের বাইরে, অফ-স্ক্রিনেও দারুণ বন্ধু, জিৎ, এবং বার্থ ডে গার্ল কোয়েল। আজ কোয়েলের ৩৮তম জন্মদিন। একটা সময় তো টলিপাড়ায় এমনও ফিসফিসানি ছিল যে গোপনে প্রেম করছেন জিকো জুটি। এমনকি জিৎ-স্বস্তিকার চর্চিত প্রেম সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসাবেও উঠে এসেছিল কোয়েলের নাম। তবে এইসবই জিৎ-কোয়েলের বিয়ের আগের ঘটনা। আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে অনুরাগ বসু সঞ্চালিত ‘কে হবে বিগেস্ট ফ্যান’ শো-তে হাজির হয়েছিলেন জিৎ। সেখানেই বন্ধুর জন্য বিশেষ ভিডিয়ো বার্তায় এক মজাদার কাহিনি ফাঁস করেন কোয়েল। জানান কেমনভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে জিৎ-কে পরিচালকের কাছে বকুনি খাইয়ে ছিলেন তিনি।
কোয়েল জানান ছবির সেই দৃশ্যের কথা, যেখানে প্যারালাইজড জিৎ খাটে শুয়ে আছেন, এবং কোয়েল তাঁকে খাইয়ে দিচ্ছেন। ঠিক কী ঘটেছিল শ্যুটিংয়ের সময়। হাসতে হাসতেই রঞ্জিত মল্লিক কন্যা জানান,‘আমার তো পিছনে ক্যামেরা, আমি হেসে যাচ্ছি। প্রেফারেন্স ওঁর। আমার তো শুধু চুল দেখা যাচ্ছে। আমি তো হেসেই চলেছি। ও খাচ্ছে আর হাসছে। ব্যাস.. স্বাভাবিকভাবে ও বকা খেয়েছিল। যদিও সবাই বুঝতে পেরেছিল যে আমার উস্কনিতেই ও হেসেছিল। আর ও হাসছে বলেই আমার আরও হাসি পাচ্ছে’।
এই কথা শুনে যদিও পালটা কোয়েলকেই আক্রমণ করেন জিৎ। তিনি বলেন, ‘কোয়েল তুমি একেবারেই নিজের মাথা খাটাচ্ছো না। নিজের মাথাটাকে বিশ্রামে রেখে দিয়েছো। এই ঘটনাটা অনেকেই জানে। নতুন কিছু তো বলবে নাকি!’
এরপর অবশ্য শ্যুটিংয়ের অন্য কোনও মজার ঘটনা জিতের কাছে অনুরাগ বসু জানতে চাইলে চটপট জবাব দিতে পারেননি অভিনেতা। বরং ভাবনার সাগরে ডুব দেন তিনি নিজেই।
২০১৯ সালে রাজ চক্রবর্তীর ‘শেষ থেকে শুরু’ ছবিতে শেষবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে জিৎ-কোয়েলকে। প্রায় দীর্ঘ চার বছর পর এই ফিল্মে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবির বাইরে হেঁটেই এখন চরিত্র বেছে নিচ্ছেন কোয়েল, অন্যদিকে কমার্শিয়াল হিরোর তকমা ছেড়ে বেরোতে রাজি নন জিৎ। তাই ভবিষ্যতে কবে এঁদের ফের একসঙ্গে দেখা যাবে তা বলা খুব শক্ত।