টিআরপি তালিকাতে সেভাবে খেল দেখাতে না পারলেও চর্চায় আছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিক। মানালি দে-র এই কামব্যাক মেগা সেই প্রোমো আউটের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হিট। দিনকয়েক আগে ফুলশয্যার খাটে ছেলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে মা দেখিয়ে উঠে এসেছিল খবরে। নতুন বউয়ের জায়গা হয়েছিল সোফাতে। তবে শাশুড়ির অত্যাচার থামার নামই নিচ্ছে না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই শিমুলকে দিতে হল ‘ডুবে মরার’ হুমকি।
ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, পরাগের মা-কে অর্থাৎ শাশুড়িকে লুকিয়ে তার দুপুরে ঘুমোনোর সময়ে পাশের বাড়ির এক বউদির বাড়িতে যায় শিমুল। তবে পরাগ সেদিন স্কুল থেকে জলদি বাড়ি ফিরে গেটে তালা দেখে দক্ষযজ্ঞ বাধিয়ে দেয়। না বলে প্রতিবেশির বাড়ি যাওয়ায় নতুন বউমার উপর রেগে লাল পরাগের মা। পাড়ার সকলের সামনে অপমান তো করেই, ডেকে পাঠায় শিমুলের বাপের বাড়ির লোককেও। আরও পড়ুন: ‘মানতে পারি না ছেলে মুখের উপর আমায় জবাব দিচ্ছে!’, মাতৃত্ব নিয়ে চিন্তায় রচনা
কিন্তু বিয়ে দিয়ে মেয়ে ফিরিয়ে নিতে রাজি নয় শিমুলের দুই ভাই। ছেলেদের ভয়েতে কিছুটা বেঁকে বসেন শিমুলের মা-ও। মেয়েকে বকাবকি করেন তার করা ভুলের কারণে। তবে সবশেষে মায়ের মন গলে মেয়ের চোখের জল দেখে। ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় বাপ মরা মেয়েটাকে। তবে শিমুল জানিয়ে দেয় সোজা আর সে ফিরবে না বাপেরবাড়ি কোনওদিন। ফেলে আসা বাড়ির চৌকাঠও ডিঙোবে না। আরও পড়ুন: টাকলু শাহরুখের নতুন ছবি! ভক্তদের উসকে দিতে জাওয়ানের নতুন পোস্টার দিলেন কিং খান
তাই তো মাকে সোজা জানিয়ে দেয়, যাবে না সে অষ্টমঙ্গলায়। মানালির চরিত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘শ্বশুর বাড়িতে জায়গা না হলে দু চোখ যেদিকে চায় চলে যাব। আর কিছু না হলে গঙ্গায় ডুবে মরব।’ মায়ের উপর অভিমান করে শিমুল যায় না আর অষ্টমঙ্গলায়।
ধারাবাহিক দেখে মাথায় হাত অনেকেরই। স্বাবলম্বী না হলে একটা মেয়ের জীবনে কত রকম সমস্যা আসতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এই ধারাবাহিক। বলে রাখা ভালো, স্লট কিন্তু ধরে নিয়েছে কার কাছে কই মনের কথা। জলসায় থাকা কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ অনেকখানিই পিছিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ঢুকেও যাবে সেরা দশে।