আয়ুর্বেদ এবং সিদ্ধশাস্ত্রের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা জারি হল। বহু দিন ধরে চলা সংশয়ের শেষ হল এবার। বাড়িতে কারও মৃত্যু হলে এবার এমবিবিএস চিকিৎসকদের মতোই ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন ‘ইন্ডিয়ান সিস্টেম অব মেডিসিন’-এ নথিভুক্ত চিকিৎসকরাও।
এর আওতায় কোন কোন চিকিৎসক আসছেন? তাঁরা হলেন আয়ুর্বেদিক, ইউনানি এবং সিদ্ধশাস্ত্রের চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৬৫ হাজার এমবিবিএস চিকিৎসকের পাশাপাশি দেড় হাজারের বেশি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং বহু ইউনানি চিকিৎসক এই শংসাপত্র দেওয়ার অধিকার পেলেন।
পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই এমবিবিএস-এর পাশাপাশি হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসকরাও ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে আসছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত শংসাপত্র দিতে পারেন। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। বহু শ্মশান এই ধরনের শংসাপত্র গ্রহণ করতে চায় না বলে অভিযোগ। সে কারণে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার দরকার ছিল বলে মনে করছিলেন অনেকেই।
অনেকেই মনে করছেন, এটি অত্যন্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি। এই নির্দেশের ফলে অনেক বিভ্রান্তি কাটল। এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন অল বেঙ্গল এএমএস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও।
তবে এর বিরুদ্ধ মতও আছে।যেমন ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’-এর সদস্যদের অনেকের মতে, একটি বিশেষ পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলাকালীন কেউ মারা গেলে যে শংসাপত্র দেওয়া উচিত, তা অন্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালানো চিকিৎসকদের থেকে পাওয়া উচিত নয়। সেটি ক্রসপ্যাথি হয়ে যাবে। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য ভয়ঙ্কর বলে মনে করছেন অনেকেই।
এছাড়া উঠে এসেছে আরও একটি আশঙ্কার কথা। অনেকেই মনে করছেন, এ ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনেক সময়ে পরিষ্কার নাও হতে পারে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা হবে।