জার্নি আরও আরামদায়ক। মনে হবে যেন মেট্রোতে চেপেছেন। এতটাই সুন্দর হয়ে উঠছে বাংলার একাধিক লোকাল ট্রেন। তবে যাত্রীদের দাবি, সময়মতো চলুক ট্রেন। বজায় থাকুক সুরক্ষা।
1/6 কয়েকটা বছর আগেও লোকাল ট্রেন মানেই যেন ছিল ঠিক মুড়ির টিন। ভেতরে গাদাগাদি ভিড়। ছোট ছোট জানালা। মেমারি থেকে হাওড়া আসতেই অর্ধেক এনার্জি শেষ। তবে এবার দিন বদলের পালা। একেবারে ঝলমল করছে লোকাল ট্রেন। দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। আর চাপলে মনে হবে যেন মেট্রো সফর। এতটাই স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ছে লোকাল ট্রেনে।
2/6 হাওড়া বর্ধমান মেইন লাইনে একাধিক লোকাল ট্রেনকে একেবারে ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। কামরায় দাঁড়ানোর বা চলাফেরার জন্য় আগের থেকে অনেক বেশি জায়গা। ট্রেনের মধ্য়েই টিভি চলছে। সেখানে বিজ্ঞাপন তো আছেই। মাঝেমধ্য়ে তাতে আবার কার্টুন দেখানো হচ্ছে। চার্লি চ্যাপলিনের শোয়ের কিছু ঝলক দেখানো হচ্ছে।
3/6 আগে ট্রেনের দরজা বলতে ছিল লোহার ভারী দরজা। একবার আটকে গেলে আর খুলতে চাইত না। তবে একাধিক লোকাল ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফ্রেম দেওয়া কাঁচের দরজা। পালকের মতো খুলছে, বন্ধ হচ্ছে। তবে সেটা স্বয়ংক্রিয় নয় মেট্রোর মতো। যাত্রীরা প্রয়োজনে সেটা খুলছেন, বন্ধ করছেন।
4/6 কাঁচের ঝকঝকে জানালা। কামরার সিলিংয়ে ঝলমল করছে আলো। আগের মতো সেই টিমটিমে আলো আর নেই। প্রচন্ড গরমে ফ্যান ঘুরছে না, পকেট থেকে চিরুনি বা পেন বের করে একটু ঘুরিয়ে দিতেই কিছুক্ষণ ঘুরেই ফের বন্ধ হয়ে যেত। তবে সেসব আজ অতীত।
6/6 লোকাল ট্রেনের মধ্য়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য় এলাহি বন্দোবস্ত। একটা সময় ছিল যাঁরা একটু কম ট্রেনে চাপেন তাঁদের কাজই ছিল পাশের যাত্রীকে বার বার জিজ্ঞাসা করা, দাদা কোন স্টেশন এল? তবে সেসব আজ অতীত। এখন কামরার মধ্য়েই পাবলিক অ্য়াড্রেস সিস্টেম। স্ক্রিনেও ফুটে উঠছে স্টেশনের নাম।