মিজোরামের লাল লঙ্কা বা ধানি লঙ্কা খুবই পরিচিত রন্ধনরসিকদের কাছে। এই লঙ্কা দিয়ে অনেকেই আচার বানান। এটি একই সঙ্গে দারুণ মুখরোচক, আর নানা ধরনের পুষ্টিগুণেও ঠাসা। শীতকালে এই আচারের লঙ্কা তীব্র কনকনে ঠাণ্ডাকে কমিয়ে দিতে পারে এক মুহূর্তে। ঝাল খেতে যাঁরা খুব পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য মিজোরামের লাল লঙ্কার আচার দারুণ একটি পদ হয়ে উঠতে পারে। এই আচারের তেলও মুড়ি মাখার স্বাদ ডবল করে দিতে পারে।
এবার দেখে নেওয়া যাক, মিজোরামের লাল লঙ্কা বা বাংলার ধানি লঙ্কার আচার বানানোর সহজ রেসিপি।
কী কী লাগবে
- মিজোরামের লাল লঙ্কা বা ধানি লঙ্কা: ৫০ গ্রাম
- রসুনের কোয়া: ১৫-১৬টা
- আদা: হাফ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা
- সরষের তেল: আধ কাপ
- নুন: স্বাদ অনুযায়ী (যদিও নুন যোগ না করাই ভালো। তাতে লঙ্কার ঝাঁঝ কমে যেতে পারে)
(আরও পড়ুন: সাধারণ অমলেট তো রোজই খান, এবার বানিয়ে ফেলুন আলুর অমলেট! ব্রেকফাস্টের জন্য পারফেক্ট)
কীভাবে বানাবেন
- লঙ্কা প্রথমে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তার পরে শুকনো সুতির কাপড়ে মুড়ে ভালো করে লঙ্কার গায়ে লেগে থাকা জল মুছে নিন। লঙ্কার বোটা ছাড়িয়ে একটি পাত্রে রাখুন।
- তার পরে ১৫-১৬টা রসুনের কোয়া টুকরো টুকরো করে কেটে নিন।
- হাফ ইঞ্চি আদা পাতলা করে লম্বা লম্বা কাটুন।
- একটি কাচের বোতল আগে থেকেই গরম জলে পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন।
- কাচের বোতলে প্রথমে লঙ্কাগুলি রাখুন। তার পরে এতে এক এক করে কেটে রাখা আদা ও রসুন যোগ করুন। তার পরে আধ কাপ সরষের তেল ঢেলে দিন। চাইলে আধ চামচ সাদা নুন যোগ করতে পারেন। এবার ঢাকনা বন্ধ করে দিন।
- এই বোতল রোদে এক সপ্তাহ রাখুন কয়েক ঘণ্টা করে রাখুন।
- মিজোরামের লাল লঙ্কার আচার রেডি।
(আরও পড়ুন: দুধ কেটে গিয়েছে? চিন্তা নেই, ওই ছানা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন পাতুরি, বড় জোর মিনিট ১৫ লাগবে)
মনে রাখবেন
- বাজারে এই লঙ্কা যদি না পান অনলাইনে পেয়ে যাবেন।
- আচারে দেওয়া সরষের তেল আগে গরম করবেন না। একদম কাঁচা সরষের তেল যোগ করবেন।
- এক সপ্তাহ কড়া রোদে অবশ্যই রাখতে হবে। রোদের তাপ কম হলে ১২-১৪ দিন মতো রোদে দেবেন।
- এক বছরের ওপর রাখতে চাইলে মাঝে মাঝে কড়া রোদে আচারের বোতল রেখে দেবেন, ভালো থাকবে।
বাড়িতে অতিথি এলে এই আচার তাঁদের দিতে পারেন। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন এটি।