বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Kidney Health: এই সহজ নিয়মগুলি মেনে চললেই সুস্থ থাকবে কিডনি! চিকিৎসকরা দিচ্ছেন টিপস

Kidney Health: এই সহজ নিয়মগুলি মেনে চললেই সুস্থ থাকবে কিডনি! চিকিৎসকরা দিচ্ছেন টিপস

দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল পানের পরামর্শ চিকিৎসকদের।

শুধুমাত্র স্লিম হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্যই নয়, কিডনিকে সুস্থ রাখতেও প্রয়োজন ব্যায়াম। প্রতিদিনের ব্যায়াম রক্তের চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও ব্যায়ামে হৃদপিণ্ডের ক্ষমতা বাড়ে।

শরীরের সাধারণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সুস্থ রাখার। শরীরের স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন ধরে রাখতে, হাড়গোড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে ও রক্তপরিশুদ্ধ রাখতে এই কিডনির সুস্থতা জরুরি। উল্লেখ্য, চিকিৎসকরা বলছেন কিডনি কিন্তু সময়ে সময়ে 'সাইলেন্ট কিলার' হয়ে যেতে পারে। ফলে কিডনি কতটা সুস্থ রয়েছে, তার দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। সেই দিক থেকে বেশ কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হালদোয়ানির বিখ্যাত নেফ্রোলজিস্ট এনএস ভান্ডারি এই বিষয়ে তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন।

৬ থেকে ৮ গ্লাস জল জরুরি

চিকিৎসক ভান্ডারি বলছেন, কিডনির রোগ থেকে দূরে থাকতে হলে দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল পান জরুরি। সারাদিনই শরীরকে দিতে থাকতে হবে বিভিন্ন জলীয় খাদ্য। এছাড়াও ব্লাগ সুগারের লেভেল একটি পর্যাপ্ত দিকে রাখতে হবে। হাইপারটেনসিভ থাকলে রক্তের চাপ সঠিক পর্যায়ে রাখতে হবে। তবে খুব অল্প পরিমাণে মদ্যপানে সমস্যা তৈরি হয় না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে তা রাখতে হবে সীমীত। উল্লেখ্য, জল খাওয়ার অভ্যাস পরিবেশ, তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে থাকে। তবে তার সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই গ্লাস মেপে খাওয়া প্রয়োজন জল।

রোজ করতে হবে ব্যায়াম

শুধুমাত্র স্লিম হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্যই নয়, কিডনিকে সুস্থ রাখতেও প্রয়োজন ব্যায়াম। প্রতিদিনের ব্যায়াম রক্তের চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও ব্যায়ামে হৃদপিণ্ডের ক্ষমতা বাড়ে। ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট মানে বিশাল কোনও সময় ধরে জিমে যাওয়ার মতো ঘটনা নয়! চিকিৎসকরা বলছেন, রোজ সকালে দৌঁড়ানো , সাইকেলিং করা, বা কোনও নাচের স্টেপে খানিকটা কোমর দুলিয়ে নিলেই সুস্থ থাকে কিডনি।

ধূমপান নিষিদ্ধ!

রেনাল সেল কার্সিনোমা তৈরির সম্ভাবনা থেকে যায় ধূমপান থেকে। ফলে ধূমপানের হাত ধরে কিডনির প্রভূত ক্ষতি হতে পারে। ধূমপানের দ্বারা রক্তের স্বাভাবিক সঞ্চালন বিঘ্নিত হতে পারে। তবে ধূমপানের অভ্যাস ছাড়লেই কিডনির রোগে বহু সুফল পাওয়া যায়।

কিডনির টেস্ট

ডায়াবেটিক রোগীদের কিডনির সমস্যা হওয়ার বড় সম্ভাবনা থাকে। যদি পারিবারিক ওবেসিটি থাকে, যাঁদের জন্মের সময় ওজন কম থাকে, যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, এছাড়াও পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে কিডনির সমস্যার তাঁদের টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এঁদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওটিসি পিল নেওয়া কমাতে হবে

যখন চিকিৎসকরা পরামর্শ দেবেন, তখনই একমাত্র ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ওটিসি পেন কিলারগুলি কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে ibuprofen ও naproxen এর কথা উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বন্ধ করুন