কুকুরেরা স্বভাবে বিড়ালের ঠিক উল্টো। সারাদিন দৌড়ঝাঁপ করেই তাদের দিন কাটে। এ হেন স্বভাবের প্রাণী যদি হঠাৎ করে চুপচাপ হয়ে যায়, দৌড়ঝাঁপ বন্ধ করে সারাদিন এক কোণে পড়ে থাকে, তাহলে দুশ্চিন্তা হওয়াই স্বাভাবিক। পোষ্য চিকিৎসকদের মতে, কুকুরের যত্ন নেওয়ার সময় বেশ কিছু ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত। আমাদের মতো আমাদের পোষ্যেরও নানা রোগ হতে পারে। চুপচাপ হয়ে যাওয়া তেমন একটি লক্ষণ হতে পারে। পোষ্য রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাংশী শাহ বলছেন, পোষ্যের অভিভাবক হলে সবসময় সজাগ থাকতে হয়। ওরা মুখে বলে ওদের অসুবিধার কথা প্রকাশ করতে পারে না। ফলে অভিভাবককেই বুঝে নিতে হবে ও কোনও সমস্যায় রয়েছে কিনা। অনেক পোষ্যের অভিভাবকই জানতে চান, কোন কোন কারণে পোষ্য এমন চুপচাপ হয়ে যায়। দেবাংশী তেমনই পাঁচটি কারণ জানাচ্ছেন।
১. অতিরিক্ত ওজন: ওজন বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ করে দুর্বল ও অলস হয়ে পড়া স্বাভাবিক। অনেক সময় পোষ্যকে আদর করতে করতে বেশি খাওয়ালে ওদের ওজন বাড়তে থাকে। নির্দিষ্ট ব্রিডের পোষ্যের ওজন একটা নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে রাখাই ভালো। এর জন্য নিয়মিত ওর ডায়েট মেনে চলতে হবে।
২. গাঁটের ব্যথা: সারাদিন দৌড়ঝাঁপ করা পোষ্যের গাঁটে ব্যথা হবে না, এটা ভাবা ঠিক নয়। অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ খেলাধুলোর জন্য ওদের প্রায়ই বিভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থানে ব্যথা হতে পারে। এই কারণেও পোষ্য একদম চুপচাপ হয়ে যায়। বেশি খেলাধুলোতে আর আগ্ৰহ দেখায় না।
৩. হরমোনের ভারসাম্য: হরমোনের ভারসাম্যে গোলমাল হওয়ার ঘটনা ওদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। হাইপোথাইরয়েডিজম তেমনই একটি রোগ। এই রোগে প্রায়ই পোষ্য ক্লান্ত বোধ করে। দুর্বলতার কারণে বেশি চলাফেরা করতে চায় না।
৪. অবসাদ: অনেক সময় দেখা যায়, পোষ্য প্রায় সারাদিন মনমরা হয়ে রয়েছে। খেলছে না, দৌড়ঝাঁপ করছে না, প্রায়ই এক কোণে চুপটি করে বসে আছে। এগুলো সাধারণত অবসাদের লক্ষণ। অভিভাবকেরা পোষ্যদের একেবারে সময় দিতে না পারলে এমনটা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে পোষ্যের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো জরুরি।
৫. সংক্রমণ: সব সংক্রমণ পোষ্যের ত্বকে ফুটে ওঠে না। শরীরের ভিতরে সংক্রমণ হলেও পোষ্য এমন মনমরা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেরি না করে পোষ্যের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।