উন্নয়নের চুক্তিতে জি ২০-এর সব সদস্য দেশগুলি শনিবার একমত পোষণ করেছে। নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলনে এমনটাই জানানো হল প্রেস বৈঠকে। ১০০ শতাংশ সহমত পোষণের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। একই সঙ্গে এই সহমত পোষণের ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী’ বলে অ্যাখ্যা দিল মোদী সরকার। জি ২০-এর শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেছেন, ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব এবার সেরা পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সভাপতিত্ব বিশ্বের আগামী দিনের লক্ষ্যকে সঠিক দিশা দেখিয়েছে বলেই তাঁর মত।
(আরও পড়ুন: হুমায়ুনের সমাধি থেকে লোধি গার্ডেন, জি-২০র মধ্যেই চলছে বিশিষ্টদের দিল্লি দর্শন)
এই দিন তিনি এক্সে (আগে যা টুইটার নামে পরিচিত ছিল) একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ৮৩টি অনুচ্ছেদে একেবারেই কোনও ভিন্নমত, কোনও বিশেষ দ্রষ্টব্যের, পাদটীকা ছিল না। যাকে একরকম অভাবনীয় বলেই ব্য়াখ্যা করেন তিনি। একই সঙ্গে নিউ দিল্লি লিডার ডিক্লারেশনের ট্যাগও দেওয়া হয় ওই পোস্টে।
অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ভূরাজনীতি নিয়ে এই বিশেষ অনুচ্ছেদগুলি আদতে একটি শক্তিশালী আহ্বান। পৃথিবী, বিশ্বের মানুষ ও শান্তির সপক্ষে এই আহ্বান জানানো হয়েছে বলেই লেখেন তিনি।
(আরও পড়ুন: বিদেশি অতিথিদের জন্য ‘পদ্ম’ উপহার! নেপথ্যের কারিগর কে জানেন)
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অমিতাভ বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই নয়া দিল্লি নেতাদের ঘোষণার সবচেয়ে বড় অর্জনগুলির মধ্যে একটি হল নারী নেতৃত্বে ভারত যা উন্নয়ন করেছে সেটা। নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার উপর ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার ফলেই তা সম্ভব হতে পেরেছে। জলবায়ু নানা পরিকল্পনাকে লিঙ্গ নির্বিশেষে সমানভাবে দেখা হয়েছে। এমনকী মহিলাদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং সুস্থতাকে বড় লক্ষ্য করা হয়েছে.'
বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই দিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই ঘোষণাটি নিঃসন্দেহে শক্তিশালী, পরিবেশবান্ধব, ভারসাম্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচারের উপর জোর দিয়েছে। এই দিন তাঁর কথায়, ঘোষণাটি পরিবেশবান্ধব অগ্রগতিকে আরও গতি দিতে চায়। সেই মাফিক একটি পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। এটি একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য সবুজ উন্নয়ন চুক্তির পরিকল্পনা করেছে। পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের জন্য জীবনযাত্রার নানা নীতি, হাইড্রোজেনের স্বেচ্ছাসেবী নীতি, স্থিতিস্থাপক অর্থনীতির জন্য চেন্নাই নীতি ও অন্যান্য নীতিগুলির মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সম্পর্কিত নীতিগুলিকে সমর্থন করেছে। এই বিপুল সমর্থনকে ঐতিহাসিক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে দিল্লির শীর্ষস্তরের নেতারা।