অনেকের বিশ্বাস ডিম হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। ৩২ বছরের ওপরের মানুষদের ক্ষেত্রে তা হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ডিমে থাকা স্যাচুরেড ফ্যাট হার্টের জন্য ঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু এটা প্রমাণিত ডিমে যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে তা খুবই অল্প। তবে ভাজা ডিম নাকি বয়েলড ডিম কোনটা কাজে দেবে সেটা আগে জেনে নিন।
অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য ডিম কতটা জরুরি?
ওজন কমানোর জন্য ডিম খুবই উপকারি। ডিমে থাকে মাত্র ৭৫ গ্রাম ক্যালোরি। ফাইবার নেই বললেই চলে। তাই ডিমের সঙ্গে শাক-সবজি খেতে পারেন। যাতে আপনার শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়ে।
ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ডিম নানাভাবে খাওয়া যায়। যেমন- সেদ্ধ ডিম, অমলেট, ভুজিয়া এবং ডিমের ঝোল। ডিমের নানা পদ আপনার ওজন কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করবে। কিন্তু কীভাবে? জানুন সঠিক নিয়ম।
ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ভাজা ডিম অনেকে খেয়ে থাকেন। ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই ডিমের সঙ্গে যদি তেল মেশানো হয় তাহলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে। তাই ভাজা ডিম এড়িয়ে চলুন। ডিমের সঙ্গে মাখন ও তেলের ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যোগ করতে পারে। তবে নারকেল তেলে ডিম রান্না করলে তা ওজন কমানোর জন্য ভালো।
আমরা প্রায়ই রেস্টুরেন্টে দেখে থাকি ডিমের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সবজি দিতে, একে বলে ডিমের মাফিন। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও ভালো আর রান্নাও তাড়াতাড়ি হয়। ডিম কেটে তার ওপর আপনার পছন্দের সবজিগুলি দিয়ে হাল্কা আঁচে ভেজে নিন।
সেদ্ধ ডিমে মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে খেয়েছেন নিশ্চয়ই? না খেলে আজই একবার ট্রাই করুন। এতে ডিমের স্বাদই শুধু বাড়ে না, হয়ে ওঠে আরও স্বাস্থ্যকর। গোল মরিচে পাইপারিন নামে একটি যৌগ পাওয়া যায়, এই মশলা পেট ও কোমরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
ডিমের স্যালাডও ট্রাই করতে পারেন। আপনার পছন্দের পাতা শাক-সবজি ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে একটি সুন্দর স্যালাড বানাতে পারেন। তাতে ভিনিগার ও অলিভ অয়েল দিতে পারেন এক্সট্রা স্বাদের জন্য।