একটা অজানা আশঙ্কা থেকে কিম্বা একা হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে কি খালি টেনশন হয়? আপনার কোনও কথায় অল্পেই কি কেউ আঘাত পেয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে অবসরে ভাবতে বসেন? কিম্বা পরীক্ষা খারাপ হলেই ফেল করে যেতে পারেন এমন চিন্তায় জড়িয়ে যান অযথাই? এই সমস্যা অনেকেরই আছে। অল্প কথাতেই টেনশনে পড়ে যান অনেকে। আর তা থেকেই নিজের ওপর বাড়িয়ে ফেলেন চাপ। যার জেরে শরীরে নানান রোগ দানা বাঁধতে পারে।
নিত্যদিনেরই কিছু না কিছু কাজের চাপ সকলের থাকে। তবে সেই বাইরের চাপের সঙ্গে যদি আপনি মনগড়া চিন্তা বা টেনশন নিজে নিজেই তৈরি করতে থাকেন, তাহলে বিপদ আপনারই বাড়বে! স্ট্রেস থেকে কী কী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তা নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। শতমূলী মহিলাদের শরীরের এই সমস্যাগুলির জন্য খুবই উপকারি! গাছটি চেনার উপায় একনজরে
চিকিৎসক চাঁদনি টুঙ্গাইত বলছেন, স্ট্রেস যে আপনার শরীরে ক্ষতি করছে, তার লক্ষণ বুঝতে পারবেন এই অসুবিধেগুলি হলে-
-সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা, রোগ প্রতিরোধে দুর্বলতা, সহজে বিশ্রাম নিতে পারছেন না, অস্থির অস্থির লাগা এই সমস্যাগুলি জানান দেয় যে আপনি স্ট্রেস থেকে কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
-খিদের ইচ্ছায় পরিবর্তন, বাকিদের এড়িয়ে চলা, দুর্বল লাগতে থাকা, এই সমস্তই হল স্ট্রেসজনিত সমস্যা।
- এছাড়াও বারবার চিন্তা, কৌতূহল, পেটে ব্যথা,অযথা চিৎকার চেঁচামিচি করাও স্ট্রেসের ফল হিসাবে ক্ষতিকারক দিক।
-এছাড়াও যদি মাথার যন্ত্রণা হতে থাকে, চোয়ালে ব্যথা হয়, ঘুম না আসে, অতিরিক্ত ঘাম হয়, হার্টের বিট হু হু করে বাড়তে থাকে, তাহলে সমস্যা স্ট্রেস থেকে এসেছে বলেই ধরে নিতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই টেনশন আর স্ট্রেসের সমস্যা থেকে বাঁচতে কয়েকটি উপায় রয়েছে।
-কে, কী ভাবলেন আপনাকে নিয়ে, বা কেউ কেন ফোন করছেন না এসব ভেবে অযথা চিন্তা করার প্রবণতা কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে যোগভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ।
-টেনশন হলে গান শুনতে পারেন।
-চিকিৎসক নিকোলে লে পেরা বলছেন, নিজেকে বুঝে নিতে হবে যে আবেগ কতটা পর্যন্ত রাখা উচিত। শান্তিতে বসতে জানতে হবে। চুপচাপ বসে থাকলে দুশ্চিন্তা অযথা করা কমাতে হবে। চিন্তা হলে জোরে জোর নিঃশ্বাস নিন। তিনি বলছেন, কার সঙ্গে সময় কাটালে ভাল লাগছে, আর কার সঙ্গে নয়, তা বিবেচনা করে খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।