Dengue Prevention: বর্ষা চলছে। তার সঙ্গে কমছে না ডেঙ্গির অত্যাচার। এই সময়ে নিজে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদের সুস্থ রাখতে কী কী খাবার খাবেন? কোন কোন নিয়ম মেনে চলবেন?
1/9 বর্ষার কারণে ডেঙ্গির দাপট এখনও কমছে না। শিশু থেকে বয়স্ক, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ফলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জ্বরজারি হলে ফেলে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। মশার কামড় থেকে বাঁচতেও সাবধান হওয়া দরকার।
2/9 এর পাশাপাশি দরকার এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া, যার ফলে মশাবাহিত রোগ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়। অর্থাৎ মশাবাহিত রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায়, এমন কিছু কাজ এই সময়ে করা দরকার। রইল তেমনই কয়েকটি পরামর্শ।
3/9 অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: বেরি জাতীয় ফল, আঙুর, পালং শাক, ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার কোষকে রক্ষা করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মশাবাহিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা জোগায়।
4/9 ভিটামিন ডি: ইমিউনিটি শক্তিশালী করতে ভিটামিন ডি-ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সূর্যালোক শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে ফ্যাটি ফিশ, কিছু দুগ্ধজাত খাদ্য এবং ডিমের কুসুম। এগুলি রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন।
5/9 জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: রোগ প্রতিরোধ শক্তির জন্য জিঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুরগির মাংস, বাদাম এবং বিভিন্ন বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই খনিজটি ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে। যা আমাদের শরীরে মশা-বাহিত প্যাথোজেন প্রতিরোধ করার ক্ষমতা জোগায়।
6/9 ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও খুব দরকারি: স্যামন, ম্যাকেরেল, সার্ডিনের মতো ফ্যাটি ফিশ ওমেগা থ্রি-এর দুর্দান্ত উৎস। এছাড়া, ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোটেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য। রোজের খাদ্যতালিকায় ওমেগা থ্রি রাখলে ডেঙ্গির মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায়।
7/9 ভিটমিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খান: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ভিটামিস সি-এর জুড়ি নেই। টকজাতীয় বিভিন্ন ফলে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি। কমলালেবু, পাতিলেবু, বাতাবি, স্ট্রবেরি, কিউই, বেল পেপার ভিটামিন সি-এর দুর্দান্ত উৎস। এগুলির মধ্যে কিছু কিছু খাবার নিয়মিত খান।
8/9 রসুন এবং হলুদ: এই দু’টি বস্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। অন্যদিকে, হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক যৌগ, যার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। রোজের ডায়েটে এলি রাখলে মশাবাহিত রোগ থেকে কিছুটা রক্ষ পাওয়া যেতে পারে।
9/9 বেশি করে জল খান: এমনিতেই নির্দিষ্ট পরিমাণে জল পান খুব দরকারি। ইমিউনিটি শক্তিশালী করতে হলে হাইড্রেটেড থাকা অপরিহার্য। তবে শুধু জল নয়, পাশাপাশি কলা, ফল, ডাব, ফলের রস এবং দইয়ের মতো খাবারও খেতে পারেন। তাতেও শরীর সুস্থ থাকবে।