পুরীতে ঘোরার জায়গা বলতে অনেকেই জানেন জগন্নাথ মন্দির, নন্দন কানন, চিলকা, কোনারক বা জগন্নাথের মাসি ও পিসির বাড়ি। তবে এছাড়াও এমন কিছু জায়াগা আছে যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা শিল্পের টানে আপনার উচিত একবার অন্তত ঘুরে আসা।
1/6 বাঙালির ভ্রমণ তালিকায় বরাবরই পয়লা নম্বরে থাকে পুরী। এমন বাঙালি পাওয়া দুষ্কর জীবনে যে একবার অন্তত পুরী যায়নি। আবার অনেকে আছেন, যারা বছরে একবার অন্তত হাওয়া বদলে যান উড়িষ্যার এই সমুদ্রতটে। তবে তাদের কাছেও পুরী বলতে ঘোরার জায়গা সেই জগন্নাথ মন্দির, নন্দন কানন, চিলকা, কোনারক বা জগন্নাথের মাসি ও পিসির বাড়ি। আজ রইল পুরীর কাছাকাছি এমন ৫ জায়গা যেখানে না গেলে সত্যিই মিস করবেন।
বর্তমানে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্লু ফ্ল্যাগ বিচ বা গোল্ডেন বিচ। ঢুকতে ২০ ঘণ্টা লাগে, থাকা যায় ৩ ঘণ্টা। চাইলে স্নান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে টিকিট ৫০ টাকা। স্নানের পর পোশাক বদলানোর জায়গা রয়েছে। রয়েছে খাওয়ার জায়গাও। আর সমুদ্রের ধারে চেয়ারে বসারও খুব সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। ভিড় কম থাকে। আর ভিড়ও থাকে কম। (ছবি-সংগৃহিত)
3/6 পুরী থেকে জঙ্গলের মজা নিতে চাইলে চলে যান চন্দকা ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারি থেকে। রয়েছে জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা। ১ ঘণ্টার জন্য খরচ পড়ে ১০০০ টাকা, ২ ঘণ্টায় ২০০০ টাকা। বোটে করে ঘুরে নিতে পারেন চন্দকা ড্যাম। পুরী থেকে যেতে সময় লাগে ঘণ্টা দেড়েক।
4/6 ইতিহাস ভালোবাসলে পুরী থেকে ১ দিনের ট্রিপে ঘিরে আসুন ললিতগিরি, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি। তিনটি জায়গাতেই মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছে বৌদ্ধধর্মের নিদর্শন। ললতিগিরি উড়িষ্যার সবচেয়ে প্রাচীণ বৌদ্ধ নিদর্শনগুলির মধ্যে অন্যতম। যা মৌর্য সম্রাজ্যের সমসাময়িক। আর উদয়গিরিতে রয়েছে উড়িষ্যার সবচেয়ে বড় বৌদ্ধস্তুপ। পুরী থেকে সময় লাগে ঘণ্টা তিনেক।
5/6 উড়িষ্যার বিখ্যাত পটচিত্র তৈরি দেখতে হলে চলে যান পুরীর রঘুরাজপুর গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পটচিত্র তৈরির কাজ। এখান থেকে উপহার দেওয়ার জন্য ছোট ছোট নিদর্শন কিনে আনতে পারেন। শিল্পীদের সূক্ষ্ম হাতের কাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
6/6 পুরী গেলেও অনেকে মিস করে যান মোহনা। তবে এই জয়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। ভিড়ভাট্টাও কম। সকাল সকাল চলে যান। ধাউরিয়া নদী মিশেছে সমুদ্রে। কিছুটা সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগবে। মোহনা দেখে ফেরার পথে ঘুরে নিন গুপ্ত বৃন্দাবন, ওঙ্কারেশ্বর মন্দির।