বাহুবলী সিঙারা খাওয়া ঘিরে প্রতিযোগিতা।
বিকেলে আকাশ কালো করে মেঘ, আর সন্ধ্যে নামতে ঝরঝর করে মুষলধারে বর্ষণ। এমন দিনে মুড়ির সঙ্গে সিঙ্গারা ছাড়া বাঙালির সন্ধ্যের আমেজ একেবারেই জমে না। শুধু বাঙালি কেন, এদেশের যেকোনও কোণেই ভারী বর্ষণ হলেই পকোড়া কিম্বা ‘সমোসা’ পাতে পড়ে। তবে, 'বাহুবলী সমোসা'র কথা শুনেছেন? পাওয়া যাচ্ছে মেরঠে। ওজন ১২ কেজি।
জন্মদিন সাধারণত কীভাবে পালন করেন? কেক কেটে? এবার সিঙ্গারা কেটে পালন করতে পারেন! ঠিকই পড়ছেন! ‘বাহুবলী সিমোসা’ বা ‘বাহুবলী সিঙারা’ আপাতত ভাইরাল। মেরঠের এই বৃহদাকার সিঙ্গারা এখন কাড়ছে নজর। চ্যালেঞ্জ একটাই, ৩০ মিনিটে শেষ করতে হবে এই সিঙ্গারা। আর সেই সিঙারা ৩০ মিনিটে শেষ করতে পারলেই ৭১ হাজার টাকার পুরস্কার মূল্য জিতে নিতে পারবেন। মেরঠের 'কুশল সুইটস' -এ এই 'বহুবলী সমোসা' পাওয়া যাচ্ছে। মেরঠের লালকুরতির এই মিষ্টির দোকানের সিঙ্গারা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। দোকানের মালিক বলছেন, ক্রেতাদের নজর কাড়তেই তিনি এমন পদক্ষেপ করেছেন। আর তার জন্যই ১২ কেজির সিঙ্গারা সামনে এসেছে। দোকানের মালিক কুশল। তিনি বলছেন, অনেকেই জন্মদিনে কেক কাটার চেয়ে বাহুবলী সিঙ্গারা কেটে খেতে পছন্দ করবেন। আর সেই আশা থেকেই এই বাহুবলী সিঙারার ভাবনা এসেছে।
এদিকে, ৭১ হাজার টাকা পাওয়ার লোভ ৩০ মিনিটে এই বিশালাকার সিঙ্গারা খাওয়া নিয়েও মানুষের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ। সবমিলিয়ে তাঁর দোকানের দিকে মানুষের নজর কাড়তেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন কুশল, বলে জানিয়েছেন। বহু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারেরও এই সিঙ্গারার দিকে গিয়েছে চোখ। জানা গিয়েছে, এই বৃহদাকার সিঙারা তৈরিতে ১,৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে, সিঙারা নিয়ে যখন মাতোয়ারা মেরঠ, তখন তেলাঙ্গানায় ১ টাকা দামের বিরিয়ানি খাওয়ার হিড়িক দেখার মতো ছিল। সেখানে এম্পায়ার হোটেল খোলার দিনেই করিমনগরে হোটেলের সামনে ১ টাকা মূল্যে ১ প্লেট বিরিয়ানি খেতে মানুষের ভিড় ছিল দেখার মতো।