দুর্গা পুজোর কটা দিন কীভাবে হইহই করে কেটে যায় টেরই পাওয়া যায় না। তবে বিষাদের সুর নিয়ে আসে বিজয়া দশমী। এদিন মা-কে বরণ করে, মিষ্টি খাইয়ে জানানো হয় বিদায়। উমা বাপের বাড়ি থেকে চলে যায় শ্বশুরঘরে। চোখের জলে বাড়ির মেয়েরা বরণ করে নেন মা দুর্গাকে।
1/7 বিজয়া দশমীর দিন বিবাহিত মহিলারা দুর্গা ঠাকুরকে বরণ করে থাকেন। পান পাতায় মুখ মুছিয়ে, ঠাকুরের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয় মা দুর্গাকে। ঠাকুর বরণ করার পদ্ধতি জানা নেই অনেকেরই। চলুন দশমীর সকালে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ধাপে ধাপে ঠাকুর বরণ করবেন আপনি-
2/7 দশমীর দিন স্নান করে, গায়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ বস্ত্র বা নতুন শাড়ি পরে নিন। আলতা পরে নেবেন দুই পায়ে। সিঁদুরে রাঙাবেন সিঁথি। বরণ ডালায় রাখুন সিঁদুর অথবা তেল সিঁদুর, ধান, দুর্বা, ফুল, বেল পাতা, দুটি পান ও মা দুর্গার উদ্দেশ্যে একটি পানের খিলি বানিয়ে নেবেন। রাখবেন একটি ১ টাকার কয়েন। থালায় রাখুন ধূপকাঠি আর মোমবাতি। বাড়িতে কোনও বিদ্যার্থী থাকলে তাঁর বইখাতাও রাখুন থালায়।
3/7 দুর্গাকে বরণ করার সময় মাথায় ঘোমটা দিন বা গায়ে আঁচল দিন। খেয়াল রাখবেন শাড়ির আঁচল বা চুলের ঝাপটা যেন মায়ের গায়ে না লাগে। সবার প্রথমে মা দুর্গার ললাটে ও মায়ের বাম হাতের শাঁখায় সিঁদুর দেবেন। তারপর গালে সামান্য সিঁদুর। এবার তিনবার পান পাতা দিয়ে মুখ মুছিয়ে দিন। এরপর পায়ে দিন ধান-দুর্বা, ফুল-বেলপাতা। সবার শেষে মিষ্টি মুখ ও জলপান করান। সবশেষে হাতে গুঁজে দিন পানের খিলি।
5/7 অবিবাহিত মহিলারাও সিঁদুর খেলতে পারেন। এমনকী পুরুষদের কপালেও দেওয়া যেতে পারে সিঁদুরের টিপ। তবে সিঁথিতে সিঁদুর না দিলেই হল। দুর্গাপুজোর শেষে সিঁদুর খেলার তাৎপর্য হচ্ছে সিঁথির সিঁদুরের স্থায়িত্ব। স্বামীর দীর্ঘজীবন কামনা করেই সধবা মহিলারা পান ও সিঁদুর দিয়ে দেবী বরণ করেন।