বর্তমান সময়ের কর্মব্যস্ত জীবনে দ্রুত পাল্টাতে থাকা জীবনযাত্রায় খাদ্যাভাসের পরিবর্তণের ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পায়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে বহু মানুষই ভোগেন। খাদ্যাভাসের দ্রুত পরিবর্তনের ফলে শরীরে যে অসুখগুলি খুব জটিল আকার নিচ্ছে, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা তার মধ্য অন্যতম।
ইউরিক অ্যাসিড খাবারের মাধ্যমে তৈরি হয়ে রক্তে মিশে যায়। তারপরে তা কিডনিতে গিয়ে মেশে। কিডনি এই ইউরিক অ্যাসিডকে ছেঁকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি যদি বাইরে বের হওয়া ইউরিক অ্যাসিডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে, তখন কিডনি সেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দেহের বাইরে পাঠাতে ব্যর্থ হয়। ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এর মূল কারণ। ক্রমশ এই ইউরিক অ্যাসিড অস্থিসন্ধিতে জমা হতে থাকে। এর ফলে অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে গাঁটে ব্যথা হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে হলে, ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই খাদ্যভাসেরও পরিবর্তণ দরকার। চিকিৎসকদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ইউরিক অ্যাসিডকে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বার করে দেয়। ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে প্রতি দিন লেবু খাওয়া প্রয়োজন। লেবু ইউরিক অ্যাসিড কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতেও দারুণ কার্যকর।
কমলালেবু, মোসাম্বি, পাতিলেবু— সব ধরনের লেবুজাতীয় ফলই ইউরিক অ্যাসিডে নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকর হতে পারে। তবে পাতিলেবু বেশি উপকারী। সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে খেলে, ইউরিক অ্যাসিড কমার পাশাপাশি ওজনও কমবে।