সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের ভোটে লিজ ট্রাস বিজয়ী বলে ঘোষিত হয়েছেন। পরের দিন রানি এলিজাবেথ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করেছেন। ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। এর পরেই বিশ্বের তাবড় রাজনীতিবিদ এবং নেতারা টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আর সেখানেই ঘটে গিয়েছে একটি মজার ঘটনা।
এই সব তাবড় রাজনীতিবিদ এবং নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাইম মিনিস্টার লিজ ট্রাসের বদলে অন্য লিজ ট্রাস (অ্যাকাউন্টের নাম @LizTruss)-এর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটিকে ট্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বদলে অন্য লিজ ট্রাসকে ট্যাগ করার ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস @trussliz নামের টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহার করেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বদলে এই সব টুইট যাঁর কাছে পৌঁছেছে, সেই অন্য লিজ ট্রাস কী বলছেন? কী করেছেন তিনি এর পরে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় লিজ ট্রাস নাম হলেও, তাঁর পুরো নাম লিজ ট্রসেল। তিনি এই ঘটনায় নিজেও চরম মজা পেয়েছেন। এবং এই সব টুইটের উত্তরও তিনি দিয়েছেন। তাতে মজা পেয়েছেন অন্যরাও।
যখন একজন টুইটার ব্যবহারকারী ভুল করে তাঁকে ট্রাসের জয়ের ঘোষণার একটি টুইটে ট্যাগ করেছিলেন, তখন ট্রসেল উত্তর দিয়েছিলেন, ‘ব্যস্ত হয়ে পড়ব।’ অন্য একটি টুইটে ভোটের সংখ্যা ঘোষণা করার সময়েও তাঁকে কেউ ট্যাগ করেন। তিনি সেখানে লেখেন, ‘হ্যাঁ! আমি এগোচ্ছি!’
এমনকী সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও এই বিভ্রান্তির শিকার। সোমবার, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেও ভুলবশত ট্রাসেলকে অভিনন্দনমূলক টুইটে ট্যাগ করা হয়। (যা পরে মুছে ফেলা হয়েছে এবং নতুন ট্যাগ বসিয়ে পুনরায় পোস্ট করা হয়েছে) পুরনো টুইটে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। তার উত্তরেও ট্রাসেল লিখেছিলেন, ‘দ্রুত সফরে আসছি। মিটবল রান্না করে তৈরি রাখুন।’
তবে এর আগেও এই বিভ্রান্তি হয়েছে। এর আগেও ট্রাসেলকে ট্যাগ করে একজন লিখেছিলেন, উনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি। তার উত্তরে ট্রাসেল লিখেছিলেন, ‘কেউ চায়নি।’