Relationship tips: সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ছোটখাটো সবকিছুতেই আপনি নজর রাখেন। দরকার মতো পরামর্শও দেন। কিন্তু এ কি আদৌ সম্পর্কের জন্য ভালো?
1/7 সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নিয়েই তো আগামীদিনের পথচলা। তাই তাঁর ভালোমন্দ চোখে চোখে রাখেন অনেকেই। কিন্তু এই অভ্যাস কি সম্পর্ককে আদৌ সুন্দর করে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
2/7 প্রথমেই জেনে নিতে হবে দুইরকম পরিস্থিতির কথা। একটি পরিস্থিতিতে একজন আরেকজনকে নিয়ে পদে পদে চিন্তা করেন। যাকে অনায়াসে দুশ্চিন্তা বলা যায়। এই অবস্থায় অন্যজন বিরূপ আচরণ করতে পারে। অর্থাৎ, পদে পদে পরামর্শ দেওয়ার জন্য তিনি বিরক্ত হতে পারেন। এতে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়।
3/7 অন্য দৃশ্যেও একজন অন্যজনকে নিয়ে পদে পদে চিন্তা করেন। পান থেকে চুন খসতে দেন না। সেটাও দুশ্চিন্তা কিছু সময়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে অন্যজন সেটি পছন্দ করছেন। মনে করছেন তাঁকে অনেকটাই যত্নে রাখেন তাঁর সঙ্গী বা সঙ্গিনী। এতে অন্য়রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে।
4/7 বিশেষজ্ঞরা পদে পদে এই দুশ্চিন্তা করার প্রবণতাকে বলছেন হাইপারভিজিল্যান্স। অর্থাৎ যতটা নজর রাখা জরুরি, তার থেকে বেশি নজর রাখা। এই হাইপারভিজিল্যান্সই আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
5/7 প্রথম ক্ষেত্রে তা সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে। একটা সময়ের পর দেখা যায়, এতে অন্যজন রীতিমতো বিরক্ত হচ্ছেন। এমনকি কথা শুনতে চাইছেন না কখনও কখনও। ফলে নিজেদের মধ্যে মন কষাকষি হচ্ছে।
6/7 অন্য়ক্ষেত্রে তৈরি হয় নির্ভরতা। পদে পদে সবকিছুর খেয়াল রাখলে শিশুর মতোই নির্ভর হয়ে পড়েন অন্যজন। তখন খুব সহজ সিদ্ধান্তও নিতে পারে না সে। ফলে একা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারাতে থাকে সে।
7/7 তাই হাইপারভিজিল্যান্স বা অতিরিক্ত চোখে চোখে রাখা কোনও ক্ষেত্রেই ভালো নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং কিছু ভুল করতে দেওয়া ভালো। এতে নতুন কিছু শেখাটা জোরদার। অন্যদিকে নিজের উপর বিশ্বাস তৈরি হয়। ছোটখাটো ব্যাপারে অন্যের উপর নির্ভরতা কমে।