ফ্যাশন স্টেটমেন্ট শুধুই পোশাকে হয় না। সঠিক ফ্যাশনের জন্য পোশাকের সঙ্গে চাই মানানসই জুতো। নয়তো স্টাইল থেকে যায় অসম্পূর্ণ। পোশাকের মতো জুতোর স্টাইলও নির্ভর করে কখন কোথায় কীভাবে যেতে চাইছি তার উপর। স্থান কাল ও পাত্রের ভিত্তিতে আমরা বেছে নিই উপযুক্ত জুতোটি। তবে এই জুতো কখনও কখনও বিপত্তির কারণ হতে পারে। এর কারণে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। এই প্রতিবেদনে তেমনই কিছু সমস্যা সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।
ক্যাজুয়াল জামাকাপড় এখন ফ্যাশনে ইন। অফিস করার সময় ফর্ম্যাল ড্রেস পরতেই হয়। তবে তার বাইরে নিজের মতো করে সময় কাটাতে অনেকেই ক্যাজুয়াল জামাকাপড় পছন্দ করেন। কোথাও কিছুক্ষণ ঘুরে আসার ক্ষেত্রেও তেমনটাই পছন্দ সবার। ক্যাজুয়াল সাজে প্রায়ই সঙ্গ দেয় স্লিপার বা চটি। খুব আঁটোসাঁটো নয় বলে অনেকেই ঢাকা জুতোর বদলে এই ধরনের জুতো পরতে ভালোবাসেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে নানারকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
১. পরে যাওয়ার আশঙ্কা: ঢাকা জুতোর তুলনায় চটি পরলে পরে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। চটির পিছনের অংশটি পায়ের সঙ্গে আটকে থাকে না। এতেই বাড়তে পারে বিপদ। চটি পরলে শরীরের ভারসাম্য রাখাও তুলনামূলকভাবে কঠিন। এর ফলে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
২. পেশি ও জয়েন্টের সমস্যা: দিনভর চটি পরে হাঁটা চলা করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় গোড়ালির। গোড়ালির দিক উন্মুক্ত থাকে বলেই এই অংশে আঘাতের পরিমাণও বেশি হয়। চটি পরে হাঁটলে ছোট ছোট পদক্ষেপ ফেলতে হয়। ফলে ব্যথা গোড়ালি থেকে ধীরে ধীরে হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
৩. ফোস্কার আশঙ্কা: চটি সাধারণত বাড়িতে পরার জন্য তৈরি। এছাড়াও ছোটখাটো কাজের জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। দীর্ঘক্ষণ চটি পরে হাঁটা চলা করলে পায়ে ফোস্কা পরতে পারে। ফোস্কা পরলে ত্বকের উপরের স্তরটি উঠে যায়।
৪. সংক্রমণ: ঢাকা জুতোর বদলে খোলা জুতো পরলে পা বাইরের জলহাওয়ার সংস্পর্শে আসে। এর থেকেই পায়ে জীবাণু ও ধুলোবালির সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এছাড়া, পায়ে ফোস্কা পরলে ওই অংশে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
কী ধরনের জুতো পরা ভালো?
ঢাকা জুতো পরলে পা সবদিক থেকেই সুরক্ষিত থাকে। সহজে যেমন পায়ে কোনও সংক্রমণ হয় না, তেমনই শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে বড় পদক্ষেপে হাঁটা যায়।