বিজয়া করতে আসা অতিথিকে মিষ্টি মুখ না করিয়ে ছাড়া যাবে না। তবে আজকাল সময় বড় কম সবার হাতে। দোকানের খাবারে ভরসা না করে, বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই ৪টি সহজ মিষ্টির রেসিপি।
1/5 বিজয়া নিয়ে আসে একরাশ মন খারাপ। এক বছর পর আবার মা আসবেন মর্ত্যে। তবে তারই মাঝে বিজয়া মানেই বড়দের প্রণাম, বন্ধুদের সঙ্গে কোলাকুলি, ছোটদের আশীর্বাদ দেওয়া। সঙ্গে মিষ্টিমুখ তো আবশ্যকই। দেখে নিন খুব সহজে বাড়িতে খুব কম সময়ে বানিয়ে নেওয়া যাবে এমন কিছু মিষ্টির রেসিপি।
2/5 বাউন্টি বল: দশমীতে মিষ্টি মুখ করাতে বানাতে পারেন বাউন্টি বল। ৪ কাপ নারকেল নিয়ে শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিন মিনিট সাতেক। এবার তাতে মেশান ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক। ভালো করে মেশানোর পর মুঠোয় চেপে যদি দেখেন নারকেল দলা পাকিয়েই থাকছে তাহলে বুঝবেন আর কনডেন্সড মিল্ক লাগবে না। এবার ছোট ছোট নাড়ুর মতো গোল করে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন মিনিট কুড়ি। মাইক্রোভেনে চকোলেট গলিয়ে নিন। ১ চামচ নারকেল তেল দিন তাতে। এবার বাউন্টি বলগুলো চকোলেটের মিশ্রনে চুবিয়ে সাবধানে একটা থালার উপর সাজিয়ে রাখুন। তার আগে থালায় সামান্য তেল মাখিয়ে নিতে ভুলবেন না। এতে চকোলেট লেগে যাবে না থালার সঙ্গে। মিনিট কুড়ির মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে বাউন্টি বল।
3/5 মালপোয়া: মালপোয়া বানাতে লাগবে আটা বা ময়দা, খোয়া ক্ষীর, মৌরি গুঁড়ো, মৌরি গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো, সামান্য নুন, চিনি, দুধ, জাফরান, ঘি, ড্রাই ফ্রুটস। দু কাপ দুধ ফুটিয়ে নিন যতক্ষণ না দেড়কাপ হচ্ছে। আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। একটা বাটিতে খোয়া আর ফেটানো দুধের অর্ধেক নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে শুকনো মশলা, চিনি-নুন, জাফরান মেশান। এবার তাতে অর্ধেক আটা বা ময়দা মিশিয়ে ফেটাতে থাকুন। ব্যাটার খুব স্মুথ হবে। কোথাও যেন দলা পাকিয়ে না থাকে। তারপর আবার বাকি আটা-ময়দা মেশান। অল্প অল্প করে বাদবাকি দুধ দিয়ে ফেটাতে থাকুন। সমস্ত মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে রেখে দিন। ৩ কাপ চিনি ও ১ কাপ জল মিশিয়ে চিনির সিরা তৈরি করে রাখুন। কড়াইতে ঘি গরম করে মালপোয়া সোনালি করে ভেজে নিন। গরম গরম ভাজা মালপোয়া সরাসরি দিয়ে দিন চিনির রসে। ৩-৫ মিনিট রসে চুবিয়ে তুলে নিন। ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
4/5 পাউরুটির রসমালাই: এই মিষ্টি বানাতে আপনার দুধ লাগবে এক লিটার, কনডেন্সড মিল্ক ২ টেবিল চামচ, পাউরুটি ৫ পিস, এলাচ ৩টি, ড্রাইফ্রুটস কুচনো (১/২ কাপ), ১ চিমটে জাফরান, চিনি পরিমাণমতো। প্যানে দুধ বসিয়ে বেশি আঁচে জ্বাল দিন। ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দুধ অর্ধেক পরিমাণ করে নিন। দুধ অর্ধেক হয়ে গেলে এতে এলাচ, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, ড্রাই ফ্রুটস, জাফরান দিয়ে জ্বাল দিন। মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে দুধের পরিমাণ কমিয়ে আরো ঘন করে নিন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে দুধ নামিয়ে ফেলুন। পাউরুটির টুকরোগুলো গোল করে কেটে সাজিয়ে নিন। দুধ ঠান্ডা হয়ে গেলে পাউরুটির ওপর ঢেলে দিন। উপর থেকে আরও কিছুটা ড্রাই ফ্রুটস দিন।
5/5 ছানার পায়েস: দুধ ৫০০ গ্রাম, চিনি ৩০০ গ্রাম, লেবু ১টি, কাজু ১০-১২টি, কিসমিস ২০টি, চেরি ৫-৬টি, এলাচ ২টো। একটা পাত্রের মধ্যে দুধ নিয়ে নিতে হবে এবং এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে সেটিকে কম আঁচে গরম করে নিতে হবে। এরপর দুধের মধ্যে লেবু চিপে নিতে হবে। তারপর দুধ ফুটে উঠে ছানা কাটতে শুরু করলে দুধ নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিতে হবে। এরপর একটি সুতির কাপড়ে ছানাগ ছেঁকে নিয়ে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। এরপর আরেকটি পাত্র নিয়ে তার মধ্যে দুধ গরম করে চিনি মিশিয়ে ভালো ফুটতে দিন। দুধ ঘন হয়ে এলে কিশমিশ, কাজু দিন। সবশেষে আঁচ কমিয়ে জল ঝরিয়ে রাখা ছানা দিয়ে দিন। ৪-৫ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। ওপরে চেরি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।