কিছুতেই স্বপ্নকে বাগে আনা যাচ্ছে না। রোজ রাতে অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন আসে ঘুমের মধ্যে। এই নিয়ে রীতিমতো মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন রাশিয়ার এক ব্যক্তি। অবশেষে এক চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি। ঘিলুকে নিয়ন্ত্রণ করতে একটি ড্রিল মেশিন হাতে তুলে নেন নোডোসিবিরসক এলাকার ওই ব্যক্তি। ওই ড্রিল মেশিন সরাসরি ঢুকিয়ে দেন নিজের মাথায়। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। অনেকটা রক্তপাত হওয়ার পরেও বেঁচে যান তিনি। পরে সমাজ মাধ্যমে নিজের পোস্টে সেই কথা জানান তিনি।
(আরও পড়ুন: পেটের রোগও বাড়ছে বর্ষায়! ৫ উপায় মানতে পারলেই সুস্থ থাকবেন )
সংবাদ মাধ্যম বাজার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪০ বছর বয়সী মিখাইল রাদুগা এক বছর আগে একটি অভিনব বুদ্ধি পান। মাথার মধ্যে ইলেকট্রোড বসিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ওই বুদ্ধিই হাতেকলমে করে দেখতে যান তিনি। খবর, সভাজ মাধ্যমে নিজের বিভিন্ন লেখার জন্য বেশ পরিচিত মিখাইল। ঘুম, অতীত ভবিষ্যত, অশরীরী বিষয় নিয়ে তাঁর লেখা সমাজ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। একাংশের মতে, তেমনই কোনও একটি পরীক্ষা মিখাইল নিজের উপর করে দেখতে যায়। তার ফলেই চরম বিপদের মুখে পড়েন তিনি।
(আরও পড়ুন: সর্দিকাশি ভুলে যাবে শরীর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে ৫ খাবার )
(আরও পড়ুন: হজম থেকে শরীর চাঙ্গা রাখা, ৫ গুণেই রোজের সেরা খাবার রসুন )
প্রসঙ্গত, জুন মাসে রাদুগা ওই বিষয়ে পড়াশোনা করতে ক্যতে জানতে পারেন, তিনিই পরীক্ষার গিনিপিগ। অর্থাৎ পরীক্ষাটি নিজের উপরেই চালাতে হবে। প্রথমে এই ব্যাপারে একজন পারদর্শী চিকিৎসকের সাহায্য নেবেন বলে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে আইনি জটে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তাঁর সঙ্গে চিকিৎসকও বিপদে পড়তে পারতেন। তাই শেষ পর্যন্ত নিজেই নিজের সঙ্গে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেন।
প্রসঙ্গত, রাদুগা যে এই ব্যাপারে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছিলেন, সে কথাও তিনি জানান। তাঁর কথায়, এই বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে প্রচুর ইউটিউব ভিডিয়ো দেখেন তিনি। একইসঙ্গে, নিউরোসার্জারি নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্যও সংগ্রহ করেন। নিজের উপর পরীক্ষা করার আগে পাঁচটি ভেড়াকেও গিনিপিগ বানিয়েছিলেন রাদুগা। তাদের উপর অস্ত্রোপচার করে তবেই নিশ্চিত হয়ে এই কাজে নামেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। নিউরো সার্জারি নিয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকায় সার্জারির শুরুতেই বিপদ ঘটে যায়। ড্রিল চালানোর পর অনবরত রক্ত বেরোতে থাকে মাথা থেকে। প্রায় এক লিটার মতো রক্ত বেরিয়ে যায় ক্ষত স্থান থেকে। চার ঘন্টার ওই সার্জারিতে বেঁচে না ফেরার মতোই পরিস্থিতি হয়েছিল তাঁর।