সামুদ্রিক মাছ, ডিম, কিছু শাকসব্জি থেকে শরীর ভিটামিন ডি সংগ্রহ করে। কিন্তু এর বাইরে ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে বেশি জোগান আসে ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলে। তখন শরীরে নিঃসৃত হয় এই ভিটামিন। হালে পৃথিবীর বিরাট অংশের মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব বাড়ছে। আর তাতেই বাড়ছে হৃদরোগের আশঙ্কা। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা এই বিষয় নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণাপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, ভিটামিন ডি-এর অভাবের সঙ্গে হৃদরোগের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এই ভিটামিনের পরিমাণ শরীরে কমলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। বাড়তে পারে রক্তচাপ। শুধু তাই নয়, কমতে পারে হাড়ের ঘনত্ব। তার ফলে চোটআঘাতের ব্যথা এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য কমে। ফলে রোদে থাকার সময়ও কমে যায়। তার ফলে এই সময়ে অনেকেরই ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়। আর সেটাই হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
গত কয়েক বছর ধরে হৃদরোগের পরিমাণ সারা পৃথিবীতেই মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন হৃদরোগে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের দাবি, এর প্রধান কারণই হল ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। তাঁরা পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার ২৩ শতাংশ, আমেরিকার ২৪ শতাংশ এবং কানাডার ৩৭ শতাংশ মানুষের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। সারা পৃথিবীর ১৩ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি-এর ব্যাপক ঘাটতিতে ভুগছেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর সেটিই হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।