কার্যত বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় সাতটি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কৃষি সংক্রান্ত জোড়া বিল নিয়ে গত রবিবার যে তুলকালাম হয়েছিল, মঙ্গলবার তার সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে। তা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। মন্তব্য করলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য ফ্যাসিবাদী পন্থা’ অবলম্বন করছে মোদী সরকার।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাজ্যসভায় কোনও বিরোধীরা নেই এবং আমি জানতে পেরেছি, আটজন সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে লোকসভার অধিবেশনও বয়কট করবে বিরোধী দলগুলি। যদি সেটা সত্যি হয়, তাহলে সংসদে কোনও বিরোধী থাকবে না।’
তার কিছুক্ষণ পরেই লোকসভার অধিবেশন বয়কট করেন বিরোধীরা। সংসদের নিম্নকক্ষে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী দাবি করেন, কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি কেন্দ্রকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয়ে গেলেও যেহেতু এখনও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেননি, তাই সেই বিলগুলি সরকার প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানান অধীর।
সেই দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃত হয় কেন্দ্র। তারপরই লোকসভার অধিবেশন বয়কটের পথে হাঁটে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলি। একইসঙ্গে সাসপেন্ড হওয়ার রাজ্যসভার আট সাংসদের প্রতিও সমর্থন জানান লোকসভার সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার ওম বিড়লা। তবে জট কাটেনি।
এদিকে ডেরেক জানান, মঙ্গলবার সংসদে যে বিলগুলি পাশ হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি বিলের বিরোধিতা করার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির। কিন্তু বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার ধরণকে ‘ফ্যাসিবাদী পন্থা’ বলে কটাক্ষ করেন ডেরেক।