বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘হাতেগোনা কয়েকজনের’ কীর্তি, শ্রীনগরের মসজিদে ‘আজাদি’ স্লোগান তুলে গ্রেফতার ১৩

‘হাতেগোনা কয়েকজনের’ কীর্তি, শ্রীনগরের মসজিদে ‘আজাদি’ স্লোগান তুলে গ্রেফতার ১৩

শ্রীনগরের মসজিদে ‘আজাদি’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ১৩ জনকে। (ছবি সৌজন্যে এএনআই)

পুলিশ জানিয়েছে, যারা স্লোগান দিচ্ছিল, তাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা। তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়।

শ্রীনগরের মসজিদে ‘আজাদি’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ১৩ জনকে। জনসুরক্ষা আইনের (পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট) আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা শুক্রবারের প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে হাতেগোনা লোক সেদিন ঝামেলা পাকিয়েছিল। প্রার্থনার পর কয়েকজন ‘আজাদি’ স্লোগান দিয়েছিল। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জামিয়া মসজিদে শুক্রবার প্রার্থনা হয়েছিল। সেজন্য জমায়েত হয়েছিল প্রচুর মানুষের। প্রায় ২৪,০০০ জন সেই প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। যা সাম্প্রতিক সময় অন্যতম বেশি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রার্থনার পর কিছুক্ষণ ধরে জনা বারো লোক দেশবিরোধী এবং প্ররোচনামূলক স্লোগান দিতে থাকে। তাতে সামিল হয় আরও কয়েকজন। যদিও অধিকাংশ মানুষ সেই স্লোগান থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন।’

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের অন্যতম বড় মসজিদ হল জামা মসজিদ। যা বছরের পর বছর ধরে কাশ্মীর উপত্যকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। আগে হুরিয়ত নেতা মিরওয়েজ উমর ফারুখ সেখানে সাপ্তাহিক ধর্মীয় ভাষণ দিতেন। তবে ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যারা স্লোগান দিচ্ছিল, তাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মসজিদের ম্যানেজিং কমিটর স্বেচ্ছাসেবকরা। তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়।

এই ঘটনা এমন একটা সময় ঘটেছে, যখন কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কেন্দ্র অবশ্য জানিয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, ‘‌২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত কাশ্মীরে ১৭৭ জন সাধারণ মানুষ ও ৪০৭ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৯ সালের অগস্টে ৩৭০ ধারা রদের কথা ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তারক্ষীর হত্যার পরিমাণ কমে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ৮৭ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর ৯৯ জন সদস্য মারা গিয়েছেন।’‌

বন্ধ করুন