বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল সিআরপিএফ। বিহারের ঔরঙ্গাবাদে তল্লাশি চালিয়ে একসঙ্গে ১৬২টি আইইডি উদ্ধার করল সিআরপিএফ জওযানরা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ১৩টি আইইডি উদ্ধার করে নষ্ট করে। এরপর জোরদার তল্লাশি চালানো হয় এলাকায়। সেই সময় এক পার্শ্ববর্তী গুহা থেকে উদ্ধার হয় ১৪৯টি আইইডি। প্রতিটি বিস্ফোরকের ওজন প্রায় এক কিলোগ্রাম করে। পরে পুলিশ এই ১৪৯টি আইইডিও নষ্ট করে দেয়। সিআরপিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, আরও অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত এই এলাকায় তল্লাশি জারি রাখা হয়েছে।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই সিআরপিএফ এবং বিহার পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। প্রাথমিক অনুমান, এই অস্ত্রগুলি মাওবাদীরাই লুকিয়ে রেখেছিল। ঔরঙ্গাবাদের মদনপুর পুলিশ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে এই অস্ত্র ও বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মদনপুর থানার অন্তর্গত জঙ্গল এলাকায় সিআরপিএফ এবং বিহার পুলিশের যৌথ দল অভিযান চালিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযানে ম্যাগাজিন সহ একটি ৩১৫ বোরের রাইফেল, গুলি, ৪টি আইইডি, একটি ইউবিজিএল মাউন্ট, ২টি ওয়্যারলেস সেট, একটি ইন্টারসেপ্টর, ৬টি ডেটোনেটর ইত্যাদি উদ্ধার হয়। অভিযান শেষ করার আগে উদ্ধার করা সমস্ত বিস্ফোরক এবং আইইডি ধ্বংস করে যৌথ দল।
ঔরঙ্গাবাদে পরপর তল্লাশি অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-বিস্ফোরক বড় কোনও নাশকতার জন্য জড়ো করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মাওবাদীরা কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র হাতে পেল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রায় এক মাস আগে মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা অভিজিৎ ওরফে বনোয়ারি এবং তার সহযোগীকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিজিতের সহযোগীর নাম কুন্দন। এদিকে ধৃত মাওবাদী নেতার মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ। তার বিরুদ্ধে ৬১টি মামলা রয়েছে দুই রাজ্যে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে অওরঙ্গাবাদে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে। যার জেরে ৭ নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল। এই আবহে ঔরঙ্গাবাদে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুকিয়ে রাখার সঙ্গে অভিজিতের যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup