পথ কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেল দেড় বছর বয়সি এক শিশুকন্যার। মৃত শিশুটির নাম সাত্বিকা ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার জি সিগাদুম মণ্ডল এলাকায় অবস্থিত মেটাভালসা গ্রামে। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ রাস্তায় খেলার সময় কুকুরের হামলার শিকার হয় শিশুটি। জানা গিয়েছে, শিশুটির মা পরিচারিকার কাজ করত। সন্ধ্যায় যে নিজের মেয়েকে নিয়েই একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় বাড়ির সামনে রাস্তায় খেলছিল শিশুকন্যাটি। তখনই এই কাণ্ড ঘটে। বাড়ির ভেতরে কাজে ব্যস্ত থাকায় প্রথমে ঘটনার বিষয়ে টের পাননি শিশুটির মা।
এদিকে কুকুরের হামলায় জখম শিশুটিকে তড়িঘড়ি রাজম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। রাজম হাসপাতালে ফার্স্ট এইডের পর শিশুটিকে শ্রীকাকুলামের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই আবহে শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এই ঘটনার।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলায়। এছাড়াও দেশের বহু জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বিগত কয়েক মাসে। অনেক শিশুর প্রাণ গিয়েছে পথ কুকুরের হামলায়। এর আগে গত সপ্তাহে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েক ক্যাম্পাসে একজন বৃদ্ধকে ছিঁড়ে খেয়েছিল একদল পথ কুকুর। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পার্কে ঘুরছিলেন সেই বৃদ্ধি। সেই সময় বেশ কয়েকটি পথ কুকুর একসঙ্গে হামলা চালায় সেই বৃদ্ধের ওপর। এই ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে নোটিশ পাঠায়। সঙ্গে আলিগড় পুরসভার কমিশনার এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
সেই নোটিশে মানবাধিকার কমিশনের তরফে লেখা হয়েছিল যে, মানুষের ওপর পথ কুকুরদের হামলার ঘটনা দেশজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে এই ধরনের ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে হবে বলে মত প্রকাশ করে মানবাধিকার কমিশন। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও সাম্প্রতিককালে মামলা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মানুষের জীবনের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।