আশেপাশে দেখে মনে হতেই পারে যে স্মার্টফোন এখন সবার হাতে। কিন্তু বাস্তবে ৫-৬ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্টফোন কেনার ক্ষমতা নেই বহু পরিবারেরই। তাছাড়া ৩০০-৪০০ টাকা দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের খরচও রয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ স্কুল পড়ুয়ার নিজের বা পরিবারের কারও স্মার্টফোন/কম্পিউটার নেই।
দেশের ১৯টি রাজ্য ও ৫টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে গত জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যান এটি। এখনও পর্যন্ত মোট ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্য তাদের পরিসংখ্যান জমা দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রও। ফলে সেখানকার পরিসংখ্যান যুক্ত হলে সংখ্যাটা আরও বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর ধরে স্কুল প্রায় বন্ধই বলা যায়। ক্লাস করতে হচ্ছে অনলাইনে। এদিকে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট নেই এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বিহারে। সেখানে ১.৪ কোটি স্কুল পড়ুয়া জানিয়েছে যে তাদের নাগালে কোনও স্মার্টফোন নেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিহারের ৫৮% পড়ুয়ার হাতেই স্মার্টফোন নেই। ফলে রাজ্যের সিংহভাগ শিক্ষার্থীই অনলাইন ক্লাস করতে অক্ষম।
এরপরেই স্থান ঝাড়খণ্ডের। সেখানে ৩২ লক্ষ পড়ুয়া এই সমস্যার কথা জানিয়েছে। তারপরে স্থান কর্ণাটকের। সেখানেও ৩১ লক্ষ পড়ুয়ার স্মার্টফোন নেই।
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের ৯.৫ লক্ষ স্কুল পড়ুয়াকে স্মার্টফোন/ট্যাবলেট দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এত বিপুল ডিভাইস সংগ্রহ জটিল হওয়ায় এর পরিবর্তে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসে যাতে বাধা না আসে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।