২০০-র স্বপ্ন দেখেও ১০০-র বহু আগে থামতে হয়েছিল বিজেপিকে। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পারফর্ম্যান্সের ধারের কাছেও যেতে পারেনি বিজেপি। এরপর থেকেই রাজ্য স্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হতে সুরু করেছিল। এই আবহে এবার বাংলার দায়িত্ব থেকে সরানো হল অরবিন্দ মেননকে। পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হল মেননকে। এদিকে 'পুরস্কার' পেলেন এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে লকেটকে। তাঁকে সেরাজ্যের 'সহ পর্যবেক্ষক' করা হয়েছে। জাতীয়স্তরে এই প্রথম তিনি এত বড় কোনও দায়িত্ব পেলেন।
রাজ্যের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পদ থেকে বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ সামলেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে হারলেও লোকসভায় ভালো ফল করেছিলেন এই লড়াকু নেত্রী। এবার তাঁকে জাতীয়স্তরে বড় দায়িত্ব দিল বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব। এই নিয়ে টুইট করেন লকেট নিজেই। সেখানে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। বুধবার সকালে ওই রাজ্যগুলির জন্য পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষক ঘোষণা করেছে বিজেপি। উত্তরাখণ্ডে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে। তাঁর সঙ্গে দুই জন সহ-পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন লকেট। আর দ্বিতীয়জন আরপি সিং।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে জিতে সাংসদ হন লকট। যদি রাজনীতিতে তাঁর পদার্পণ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হাত ধরে। তার পর তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। দীর্ঘ সময় বঙ্গ-বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। মোদীর সরকারের মন্ত্রী হিসেবে জল্পনায় বারংবার উঠে এসেছে তাঁর নাম। সেই জল্পনা সত্যি হয়নি। তবে এবার থেকে অন্য রাজ্যে সাংগঠনিক কাজে পাঠাল বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব।