তৃণমূল রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করলেও দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের আশা ফের সেই দরজা খুলবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি পুর্নবিবেচনা করবেন তিনি। কিন্তু অসম কংগ্রেস তৃণমূল নেত্রীর পশ্চিমবঙ্গে ‘একলা চলো’ নীতি ঘোষণার পর সে রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে।
শনিবার অসম কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁরাও রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। বর্তমানে বারাক ভ্যালি সফরে রয়েছে ভূপেন বোরা। সেখানে তিনি সাংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ছটি আসন চেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু তৃণমূল দুটি আসন দিতে রাজি হয়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর থেকে আপনি অসমে আমাদের অবস্থান বুঝতে পারবেন। যেখানে মোট ১৪টি আসন রয়েছে।’ অর্থাৎ তিনি প্রকারন্তরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় যেহেতু কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আসেনি তৃণমূল, তাই অসমেও তাঁরা আসন সমঝোতা যাবেন না। তবে যেহেতু দলের শীর্ষনেতৃত্ব এখন আসন সমঝোতার রাস্তা খালা রয়েছে ,তাই সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেছেন রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কটাক্ষ করে 'ফটোশ্যুট' বলে কটাক্ষ করছেন মমতা। পাশাপাশি মমতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, দেশে ৪০টি আসনও জিততে পারবে না কংগ্রেস।
তৃণমূল নেত্রীর সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার পালটা তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের সাংসদ অভিযোগ করেন, বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। সে কারণেই তিনি অবস্থান বদল করছেন।
আরও পড়ুন। ছন্নছাড়া বিরোধী জোট, '৪০ আসন' মন্তব্যের জবাবে মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অসমে বিজেপি নয়টি আসন পায়। তাদের সহযোগী এজিএফ এবং বিপিএফ একটি আসনও জিততে পারেনি। অন্য দিকে কংগ্রেস পায় তিনটি আসন। এআইইউডি এবং নির্দল একটি করে আসন জেতে। এবারে আসন সংখ্যা বাড়তে বলে আশাবাদী হাত শিবির।
বারাক উপত্যকায় দলের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করার জন্য বোরা কংগ্রেস সদস্যদের তাদের নির্ধারিত বুথগুলির জন্য ব্যক্তিগত দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান।