জোড়া ভূমিকম্পে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২৬ জনের। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। সেইসঙ্গে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুরে কম্পন অনুভূত হয় পশ্চিম আফগানিস্তানের বাদঘিস প্রদেশে। যা আফগানিস্তানের সবথেকে পিছিয়ে পড়া এবং অনুন্নত এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। ঘণ্টাদুয়েক পরে আবারও কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। দ্বিতীয়বার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। দুটি ভূমিকম্পের উৎসস্থলের মধ্যেও বেশি দূরত্ব ছিল না। প্রথমের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বাদঘিস প্রদেশের রাজধানী কোয়াল-ই-নইয়ের ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। কোয়াল-ই-নইয়ের দক্ষিণ-পূর্বে ৫০ কিলোমিটার দূরে দ্বিতীয় ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। যদিও ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা কিছুটা কম ছিল। রিখটার স্কেলে প্রথমটির মাত্রা ছিল ৫.১ এবং দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১।
বাদঘিস প্রদেশের প্রধান বাস মহম্মদ সারওয়ারি জানিয়েছেন, জোড়া ভূমিকম্পের ধাক্কায় প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষত প্রদেশের দক্ষিণে কাদিস জেলা রীতিমতো লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ওই জেলার লাগোয়া এলাকায় প্রথম ভূমিকম্প হয়। সেখান থেকেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। মৃতদের অধিকাংশই কাদিস জেলার বাসিন্দা। কম্পন অনুভূত হয়েছে কোয়াল-ই-নইয়েও। তবে সেখানে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে হতাহতের খবর মেলেনি। কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বাদগিস প্রদেশের এক মুখপাত্র বলেছেন, 'পাঁচ মহিলা এবং চার শিশু-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।'