চলতি মাসের শেষের দিকে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। যা পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাংলাদেশে জাঁকিয়ে পড়তে পারে শীত।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগামী সোমবার (২৯ নভেম্বর) বা মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যা ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই সময় কিছুটা তাপমাত্রা বাড়বে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলেই বাংলাদেশে জাঁকিয়ে শীত পড়বে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই লেপ, কম্বল পুরোপুরি বের করতে হবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। ইংরেজি বছরের শেষ লগ্নে উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং মধ্য বাংলাদেশে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
এমনিতে এবার বাংলাদেশে শীতের ঠিক আগমন হয়নি। সিলেট, রংপুরের মতো জায়গায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমছে। ভোরের দিকেও হালকা শীতের আমেজ থাকবে। কিন্তু বেলা বাড়লেই গরম বাড়ছে। গায়ে রাখা যাচ্ছে না কিছুটা মোটা জামাকাপড়। তবে রাজধানী ঢাকায় সেরকমভাবে শীতের অনুভূতি হচ্ছে না। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
বাংলাদেশে আগামী মাসের শুরুতেই শীত পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সেই সময় বাংলায় নিম্নমুখী থাকবে পারদ। আগামী দু'তিনদিনে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যেতে পারে। ফলে আগামী কয়েকদিনে শীতের আমেজ মিলবে। জাঁকিয়ে শীতের জন্য আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। তখন থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের পারদ অনেকটা কমে যাবে।