বাপ্পি লাহিড়ির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'তাঁর সৃষ্টির সঙ্গে একাত্মবোধ করেন বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ।' শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘সংগীতের জগতে তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন (বাপ্পি লাহিড়ি)।’
বুধবার সকালে টুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রী বাপ্পি লাহিড়ির গান অত্যন্ত মনোগ্রাহী। যা বিভিন্ন অনুভূতিকে অসাধারণভাবে তুলে ধরে। তাঁর সৃষ্টির সঙ্গে একাত্মবোধ করেন বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ। তাঁর যে প্রাণবন্ত স্বভাব ছিল, তার অভাব অনুভূত করবেন সকলে। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত। তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ওম শান্তি।’
মঙ্গলবার রাতের দিকে মুম্বইয়ের জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু বাঙালি সংগীত পরিচালক তথা গায়কের। বয়স হয়েছিল ৬৯। ‘ডিস্কো কিং’-এর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। টুইটারে তিনি বলেন, 'কিংবদন্তি গায়ক ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির অকাল প্রয়াণে মর্মাহত। অসামান্য প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সর্বভারতীয স্তরে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং সাফল্য পেয়েছেন উত্তরবঙ্গের ছেলে। সংগীতের জগতে তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন। 'তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেছিলাম আমরা। কিংবদন্তির সৃষ্টি আমাদের স্মরণে থাকবে। সমবেদনা জানাচ্ছি।'
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যে সকল বাঙালি সংগীতশিল্পী দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে উপরের দিকে থাকবেন বাপ্পি লাহিড়ি। আশির দশকে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির দিশা বদলে দিযেছিলেন এই বাঙালি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘শারাবি’, ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টারজান’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো একাধিক সুপারহিট ছবির সংগীতের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। আমির খানের বাবা তাহির হুসেনের ‘জখমি’-র হাত ধরে বলিউডের সংগীত জগতে নিজের আত্মপ্রকাশ দাপটের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন এই বাঙালি সংগীত শিল্পী। ২০২০ সালে ‘বাগি ৩’ ছবির ‘ভাঙ্গাস’ বাপ্পিদার কম্পোজ করা শেষ গান।