সালটা ১৯২০। আইসিএস পরীক্ষা দেবেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তারইমধ্যে ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে বিহার এবং ওড়িশা সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হল। জানতে চাওয়া হল, নেতাজির পারিবারিক এবং সামাজিক অবস্থা কেমন। ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে নেতাজি সংক্রান্ত এমনই সব গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনল বিহার সরকার। তা ডিরেক্টরেট অফ স্টেট আর্কাইভের তরফে ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে। সেই পেজটি নেতাজির নামে উৎসর্গ করেছে বিহার।
সেই গোপন তথ্যের মধ্যে আছে ১৯২০ সালের ১৪ অগস্টের ওই চিঠিটিও। বিহার এবং ওড়িশা সরকারের তৎকালীন মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ করে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘এ বছর আইসিএস প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছেন, এমন কয়েকজন ভারতীয় এবং এশিয়ার বংশোদ্ভূত কয়েকজন প্রার্থীরা তালিকা প্রদান করেছে ভারত সরকার। যত দ্রুত সম্ভব ওঁনার (নেতাজি) সামাজিক অবস্থা এবং তাঁর বাবার বর্তমান পেশার বিষয়ে তথ্য পাঠানো হোক।’
শুধু তাই নয়, ১৯৪৫ সালের জুলাইয়ে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’ এবং নেতাজির অস্থায়ী সরকারের উপর থেকে প্রচারের নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে তথ্য সামনে আনা হয়েছে। এছাড়াও বিহারের রাজধানীর বিভিন্ন জনসভায় (পাটনা শহর থেকে দানাপুর পর্যন্ত) কেমন প্রতিক্রিয়া পেতেন নেতাজি, সেই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর বিস্তারিত ভাষণও আপলোড করেছে বিহার সরকার।
ডিরেক্টরেট অফ স্টেট আর্কাইভের অধিকর্তা মহেন্দ্রপাল জানান, প্রতি বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। গোপন ফাইল এবং তথ্য নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য এবার সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে। সামাজিক দূরত্বের বিধির কথায় মাথায় কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। পরিবর্তে বেশি সংখ্যক মানুষের নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইলের তথ্য পৌঁছে দিতে তা ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ওই জনসভা এবং ভাষণ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছে ডিরেক্টরেট অফ স্টেট আর্কাইভ। তবে আরও বেশি মানুষ যাতে সেই তথ্য পড়তে পারেন, সেজন্য এবার তা ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে।’