করোনাকালে আরও বেশি করে ত্রাণের কাজে হাত লাগাবে বিজেপি। এই মর্মে কর্মীদের নির্দেশ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এদিকে বিজেপি শাসিত মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে করোনায় অনাথ হওয়া শিশুদের দায়িত্ব নিতে বললেন নড্ডা। করোনার জেরে দেশে এখনও প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ। এই সংক্রামক ভাইরাস অনেক শিশুর থেকেই কেড়ে নিয়েছে তাদের মা-বাবাকে। এই পরিস্থিতিতে ৩০ মে মোদী সরকারের ৭ বছর পূর্তি। তার আগে দলের ভাবমূর্তি ভালো করতে উঠে পড়ে লেগেছে পদ্ম শিবির। বিরোধীদের অভিযোগ, কোভিড শিবিরে যে দল এভং মোদীর জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেয়েছে, তা বুঝতে পেরেই জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হিড়িক।
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে করোনা সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে ৩১৭৬টি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত দেশে ১২০৪টি রক্তদান শিবির করা হয়েছে। ৬৪ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করা ছাড়ও ১৩ লক্ষ পরিবারকে খাওয়ানো হয়েছে দলের তরফে। এছাড়া ৬.৯ লক্ষ পরিবারের হাতে রেশন কিট তুলে দেওয়া হয়েছে। এসব কাজ করতে দল ১.৮৮ লক্ষ কর্মীকে নিয়োগ করেছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ত্রাণের কাজ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নড্ডার তরফে। বিশেষ করে অনাথ শিশুদের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে দলের কর্মীদের।
এর আগে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ঘোষণা করেছে যে করোনা যে সকল শিশুদের মা-বাবাকে কেড়ে নিয়েছে, তাদের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। তাছাড়া করোনার জেরে অনাথ হওয়া শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। একই পথে হাঁটেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এরপরই কেন্দ্রের থেকে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কাছে নির্দেশ যায় যাতে, করোনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এবং অনাথ হওয়া শিশুদের সাহায্য করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করে এবং সামঞ্জস্য বজায় রেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। শিশু ছাড়া বৃদ্ধদের এবং মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতেও পদক্ষেপ নিতে বলেছে কেন্দ্র।