পাকিস্তানে চাপের মুখে পড়ল স্যামসাং। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সংস্থার বিরুদ্ধে ‘ইসলামের অবমাননাকারী মন্তব্য’ প্রচারের অভিযোগ উঠল। এর জেরে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের করাচিতে। ঘটনা প্রসঙ্গে স্যামসাং পাকিস্তান বলেছে যে সংস্থাটি 'ধর্মীয় অনুভূতির প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে'। পাশাপাশি স্যামসাং যোগ করে যে তারা বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার একটি শপিং মলে একটি ওয়াইফআই ডিভাইস ইনস্টল করা হয়। সেই যন্ত্র থেকে নাকি ক্রমাগত ইসলাম বিরোধী মন্তব্য ভেসে আসছিল। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামে। এদিকে আবার বলা হচ্ছে, স্যামসাং-এর তরফে একটি কিউআর কোড উন্মোচন করা হয়। অভিযোগ, সেই কিউআর কোড নাকি হজরত মহম্মদকে অসম্মান করছে। এই আবহে স্যামসাং-এর হোর্ডিংয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জন স্যামসাং কর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে যে ওয়াইফআই ডিভাইসটি ঘিরে এত সমস্যা পুলিশ সেই ডিভাইসটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী সংগঠন তেহরির-ই-লব্বাইকের কর্মী-সমর্থকরা স্যামসাং হোর্ডিংয়ে ভাঙচুর ও শপিং মলে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা খুব সংবেদনশীল একটি ইস্যু। গতবছর এই ধরনের এক ঘটনায় শ্রীলঙ্কার এক ফ্যাক্টরি কর্তাকে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয়েছিল শিয়ালকোটে।