রাস্তাঘাটে মাস্ক তো পরতেই হবে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের (সেকেন্ড ওয়েভ) মোকাবিলায় এবার বাড়িতেও মাস্ক পরার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে যাবতীয় সুরক্ষা বিধি পালনের আর্জি জানানো হয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, অকারণে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তাতে লাভের থেকে আখেরে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, অনেকের স্রেফ আতঙ্কেই হাসপাতালে ভরতি হয়ে যাচ্ছেন। যাঁদের হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই শুধুমাত্র চিকিৎসকদের পরামর্শেই হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তারইমধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। সোমবার দৈনিক আক্রান্ত ৩.৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যাও ৩,০০০ ছুঁইছুঁই। সেরেও উঠেছেন ২.১৮ লাখ। তবে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার এবং হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের আকালের কারণে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে চলার পাশাপাশি করোনার টিকাকরণের উপর বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এবার থেকে বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। নীতি আয়োগের সদস্য তথা কেন্দ্রের করোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ভিকে পল বলেন, 'এই করোনা আবহে দয়া করে অকারণে বাড়ি থেকে বের হবেন না। পরিবারের মধ্যে থাকলেও মাস্ক পরে থাকুন। মাস্ক পরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের বাড়িতে অন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানাবেন না।'
একইসঙ্গে কেন্দ্রের আশ্বাস, দেশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে। কিন্তু তা পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। সেই সমস্যা কাটিয়ে হাসপাতালে অক্সিজেন পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলিকে ঠিকভাবে অক্সিজেন ব্যবহার এবং লিক বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব।