উত্তরাখণ্ডে চারধাম যাত্রা ঘিরে প্রবল ভিড় শুরু হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই ভিড়ের মাঝে ২০ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সরকারের তরফে সাফ জানানো হয়েছে যে, যে সমস্ত তীর্থ যাত্রীরা পোর্টালে নিজের নাম রোজিস্টার করেছেন, তাঁদেরই ক্ষেপে ক্ষেপে যেতে দেওয়ার জন্য ছাড় দেওয়া হবে।
মে মাসের ৩ তারিখে তীর্থভূমি দ্বার খুলেছে। সেই সময় ২ লাখ ভক্ত নিজের নাম এই তীর্থযাত্রার জন্য রেজিস্টার করেন। বিশেষত সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথের মন্দির খোলার দিন। সেই দিনের ভিড় প্রবলমাত্রায় ছিল। জানা গিয়েছেস কেদারনাথ মন্দির খোলার দিন ২ লাখ মানুষের ভিড় দেখা যায়। যদিও সেখানে অনুমতি রয়েছে ১২০০০ জনের। পর্যটন মন্ত্রক বলছে, এখন ৯ লাখ তীর্থযাত্রী সেখানে রেজিস্টার্ড হয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৭,৬৫৬ জন তীর্থযাত্রী সেখানে তীর্থ দর্শন করেছেন। উত্তরাখণ্ড সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পনেরো হাজার জন বদ্রীনাথের গিয়েছেন, বারো হাজার জন কেদারনাথে, সাত হাজার গঙ্গোত্রী ও চার হাজার যমুনোত্রীতে গিয়েছেন। শিশুকে নিয়ে একা ট্রেন সফরত মহিলাদের বিশেষ সুবিধা! ভারতীয় রেলে নয়া পরিষেবা শুরু
মনে করা হচ্ছে, সমতল এলাকায় স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়লেই এই চারধাম যাত্রার দিকে আর মানুষ আকৃষ্ট হবেন। এর আগে কোভিড কালের আগে ২০১৯ সালে চারধাম যাত্রায় মে থেকে নভেম্বরে ৩২ লাখের বেশি মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। এরপর এই বছর তীর্থযাত্রার দ্বার খুলতেই ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে যে এরপর থেকে ক্ষেপে ক্ষেপে সমস্ত তীর্থযাত্রীদের তীর্থ দর্শনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন নিরাপত্তার আঁটোসাটো বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তেমনই চিকিৎসার সরঞ্জামও নিয়ে প্রস্তুত মেডিক্যাল টিম। জানা গিয়েছে যে ২০ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মেডিক্যাল সমস্যা ছিল, অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ফলে যাত্রীদের সুরক্ষাকে নজরে রেখে, নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। গত ২৮ এপ্রিল থেকে এই তীর্থ যাত্রা চালু হয়েছে এই বছর।